[ad_1]
‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২৫’-এর হোস্ট হতে বাংলাদেশের সমর্থন চায় ফ্রান্স। রোববার ঢাকার ফরাসি দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থন প্রত্যাশা করেন ফ্রান্স সরকারের বিশেষ দূত ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সাবেক মহাপরিচালক প্যাসকেল ল্যামি। রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও আজারবাইজান এক্সপো আয়োজনের হোস্ট হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধিত প্রদর্শনী হিসেবে পরিচিত এ এক্সপো প্রতি পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি দেশ নিজস্ব প্যাভিলিয়ন নিয়ে প্রায় ছয় মাসব্যাপী এ এক্সপোতে অংশ নিয়ে থাকে।
সর্বশেষ ইতালির মিলান শহরে ‘ফিডিং দ্যা প্ল্যানেট, এনার্জি ফর লাইফ’শীর্ষক ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০১৫’অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে ২০ অক্টোবর থেকে দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ‘কানেক্টিং মাইন্ডস, কানেক্টিং দ্য ফিউচার’ শীর্ষক ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো’২০২১ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড এক্সপোর থিমগুলি সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল অর্জনে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কাজে লাগানো হয়। ফ্রান্স ওয়াল্ড এক্সপোটির থিম নির্ধারণ করেছে ‘নলেজ টু শেয়ার, প্ল্যানেট টু কেয়ার’।
বাংলাদেশ ফ্রান্সকে সমর্থন করার যুক্তি তুলে ধরে প্যাসকেল ল্যামি বলেন, আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আরও দক্ষতার সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। এটা বাংলাদেশের মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। প্যারিসে অংশগ্রহণ প্রতিটি দেশের জন্য ব্যয়বহুল হবে। ৪০ মিলিয়ন দর্শক আকর্ষণের আশা করছি আমরা। যা এক্সপোতে নিযুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি বলেন, প্যারিস যদি এক্সপোর হোস্ট করতে পারে তাহলে কৌশলগত, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সুবিধা ছাড়াও রাজনৈতিক সুবিধার দিক রয়েছে। অবশ্যই এটা একটা প্রতিযোগিতা। আমরা বিশ্বাস করি এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ফ্রান্সকে সমর্থন জানাবে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স এখন চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ওয়াল্ড এক্সপোতে অনেক অংশগ্রহণকারী থাকবে, এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটা বড় বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
বিশ্বব্যাপী ৭০টি দেশ থেকে ১০০ যুবক এ এক্সপো আয়োজনে ফ্রান্সের পক্ষে প্রচারাভিযান চালাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মনিবুর রহমান নামে এক ছাত্র ফ্রান্সের প্রার্থিতা সমর্থন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এটি ইউরোপে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকেও উপকৃত করবে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশি হিসেবে আমি এ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে চাই এবং ফ্রান্সকে ভোট দিতে চাই, যাতে ফ্রান্স এক্সপোটি আয়োজন করতে পারে।