[ad_1]
নরেন্দ্র মোদী ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন এবং ২৬শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
দিল্লি সফররত বাংলাদেশের শত তরুণের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে নাটকীয়ভাবেই বাংলাদেশের তরুণদের সামনে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় বললেন, ‘কেমন আছো, আমার সোনার বাংলা।’ জবাবে উচ্ছ্বসিত তারুণ্য জাতীয় সংগীতের পরের অংশের মতোই বলল, আমি তোমায় ভালোবাসি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দিল্লি সফররত বাংলাদেশের শত তরুণের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান ছিল। অর্ধযুগ ধরে বাংলাদেশের একশ তরুণের প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে আসছে। তবে এবারের সফরটি একটু অন্যরকম। কারণ এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে তারুণ্যের এ গ্রুপটি। এর আগে শুধু সাক্ষাৎ হতো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। এ সফরের কথা জানতে পারার পর নরেন্দ্র মোদী নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে দেখা করার।
মধ্যাহ্ন ভোজের পরপরই এ সাক্ষাতে বাংলাদেশি তরুণদের আগ্রহের জায়গা এবং পেশার বিষয়ে জানতে চান নরেন্দ্র মোদী।
ভারতে এসে কেমন লাগছে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, আপনাদের দিল্লি কেমন লেগেছে? কলকাতায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা? জানতে চেয়ে নিজেই বলে ওঠেন, কলকাতা আর বাংলাদেশের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। একই রকম ভাষা এবং শিল্প-সংস্কৃতি। এ সময় তরুণদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তিনি। ১০ মিনিটের এ সাক্ষাতে তরুণরা ভারত-বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের মতামত এবং প্রত্যাশা তুলে ধরেন। তরুণদের সঙ্গে ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশি শত তরুণের সাক্ষাৎ পর্ব।
নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে। সাউথ ব্লকে নিজ দফতরে বাংলাদেশের তরুণদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সুষমা। ছবির ফ্রেমে সবাইকে রাখতে প্রতিনিধি দলটিকে দুই ভাগ করে ছবি তোলেন সুষমা। আট দিনের সফরে ইতোমধ্যেই আগ্রা ঘুরে আসা তরুণরা নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিভিন্ন শিক্ষা, ব্যবসা, তথ্য প্রযুক্তি ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।
[ad_2]