অত্যাধুনিক মোবাইল ক্রেন দিয়ে আনুষ্ঠানিক অপারেশন কার্যক্রম শুরু করলো মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দরের ৯ নম্বর জেঠিতে অবস্থানরত কন্টেইনারবাহী এমভি কোটা রিয়া বানিজ্যিক জাহাজ থেকে কন্টেইনার খালাসের মাধ্যমে ক্রেনটির কার্যক্রম শুরু করা হয়। ৪৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬৪টি চাকা যুক্ত ৮৪ মেট্রিক টন উত্তোলন এবং ১৪ সারি কন্টেইনার মোবাইল গিয়ারলেস জাহাজ হতে কন্টেইনার খালাসের ক্ষমতা সম্পর্ণ ক্রেনটি জার্মান থেকে আমদানী করা হয়। মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক ও তড়িৎ) মাহবুবুৃর রহমান মিনা জানান,নতুন ওই ক্রেনটি বিদ্যমান জেঠির লোড সহনশীলতার সীমার মধ্যে ৫ থেকে ৯ নম্বরে বরাবর চলাচল করতে পারবে।
অত্যাধুনিক ক্রেন দিয়ে স্প্রেডার,গ্রাব ও হুক অপারেশন চাহিদানুসারে ব্যবহার করা যাবে। বন্দরের ওই কর্মকর্তা জানান, ক্রেনের বুমটি ৪৮ মিটার দীর্ঘ হওয়ায় খুব সহজে গিয়ারলেস জাহাজ হতে কনেন্টইনার বোঝাই ও খালাস দ্রুত করা যাবে। এবং ৪০ মিটার কার্যকারী রেডিয়াসে অটোমেটিক স্প্রেডারে ৩২ টন হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম এটি। ক্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) আফসানা ইয়াসমিন। এসময় তিনি জানান,২০২১ সালে মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্ধোধন আর রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সামনে রেখে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৪৩৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ৭৫টি ইকুপমেন্ট সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। অল্প দিনের মধ্যে মোংলা বন্দরের বহরে যুক্ত হবে আরো তিনটি অত্যাধুনিক মোবাইল ক্রেন। বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবী করেন, আমদানী –রপ্তানী বানিজ্যে দেশের ব্যবসায়ীদের চাহিদা পুরন করতে দিন দিন সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে মোংলা বন্দর। আর এর ফলে দেশের রাজস্ব আয়ে যোগান দিতে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে মোংলা বন্দর।
অপারেশন কার্যক্রম উদ্ধোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আলতাপ হোসেন খানঁ, সচিব ওহি উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক ট্রাফিক মোস্তফা কামাল, প্রধান প্রকৌশলী( মেরিন ও হারবার) শেখ শওকত আলী, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, উপ প্রধান প্রকৌশলী( যান্ত্রিক ও তড়িৎ) মাহবুবুর রহমান মিনা, সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোহাম্মদ সোহাগ, সহকারী ট্রাফিক অফিসার কুদরত ই এলাহি,উপ সচিব মাকরুজ্জামানসহ বন্দরের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।