[ad_1]
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মোর্তাজা একটা মিথ। স্বপ্নের সওদাগড় তিনি। ভাঙা হাঁটু নিয়ে বাংলাদেশকে যেভাবে তিনি টেনে চলেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর। সাত বার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পরেও কোনও পেসার যে দিব্যি খেলে যেতে পারেন, তা মাশরাফিকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। ক্রিকেটার মাশরাফিকে অনেক আগেই ছাপিয়ে গিয়েছেন মানবিক মাশরাফি। এ বার এক জন মাঠকর্মীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফের খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে মিরপুরের শের ই-বাংলা স্টেডিয়াম। বুধবার এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটি। এই ঐতিহাসিক ম্যাচে নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলেই এই ম্যাচে বাংলাদেশকে রাখতে পারত। কেন রাখা হয়নি বাংলাদেশকে? ক্রীড়াসূচি তৈরির সময়ে বিসিবি-কর্তাদের মাথাতেই আসেনি ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটি হবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ১০০-তম ওয়ানডে-কে বিসিবি কর্তারা স্মরণীয় করে রেখেছেন মাঠকর্মীদের সম্মান জানিয়ে। শততম ওয়ানডে-র আয়োজন উপলক্ষে ৪৬ জন কর্মীকে স্মারক জ্যাকেট উপহার দিয়েছে বিসিবি। সেই জ্যাকেটের গায়ে লেখা, ‘‘শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ১০০-তম ওয়ানডে। ’’
বুধবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে খেলে ফেলেছে এই মাঠের শততম ম্যাচটি। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে ম্যাচের টসের সময়ে আলাদা করে নজর কেড়েছে শের-ই-বাংলার বর্ষীয়ান মাঠকর্মী আবদুল মতিনের উপস্থিতি। ধারভাষ্যকার অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল তাঁকে ডেকে নেন। ১০০-তম ম্যাচে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই ডাকা হয়েছিল মতিনকে। ৩৬ বছর ধরে মতিন মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এই মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি স্বয়ং মাশরাফিও।
নিজের ফেসবুক পেজে মতিনের সঙ্গে ছবি দিয়ে মাশরাফি লিখেছেন, ‘‘তামিম, সাকিব আরও অনেকের ১০০ পেরিয়ে আজ মতি ভাইয়ের ১০০ নট আউট যেন বেশি আনন্দের। অভিনন্দন মতি ভাই। ২০০-এর অপেক্ষায় আছে শের-ই-বাংলা। ’’ শুধু ফেসবুকে লিখেই মতিনকে শ্রদ্ধা জানাননি মাশরাফি। বুধবার অনুশীলন শেষে মতিনের সঙ্গে তিনি দেখাও করেন।
সবার কাছ থেকে সম্মান পাওয়ায় মতিন বেশ হকচকিয়ে গিয়েছেন। তিনি যা আশা করেছিলেন, তার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছেন। এমনটাই এখন তাঁর অনুভূতি। তাই মতিন বলেছেন,‘‘আমার এরকম অভিজ্ঞতা আগে হয়নি। টস করার সময়ে আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবাই এগিযে এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। খুব ভাল লাগছে। আজ ১০০ তম ওয়ানডে হচ্ছে। আশা করি, একদিন এখানে ৫০০ তম ওয়ানডেও হবে। ’’
[ad_2]