[ad_1]
যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম গিনা হাসপেল নামে এক নারীকে দেয়া হচ্ছে দেশটির আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) প্রধানের দায়িত্ব।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএ প্রধান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে তার নিয়োগ অনুমোদন পেলে তিনিই হবেন সংস্থাটির প্রথম নারী প্রধান।
বর্তমান সিআইএ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাইক পম্পেও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করলে সেই পদে মাইক পম্পেওর নাম ঘোষণা করা হয়। তখন সিআইএ পদ কাকে দেয়া যেতে পারে এ নিয়ে ট্রাম্প নিজেই গিনা হাসপেলকে বেছে নেন। গিনা হাসপেলকে ওবামা প্রশাসনও সিআইএ প্রধান হিসেবে বিবেচনা করেছিল। কিন্তু তাকে শেষ পর্যন্ত ওই পদে বসাতে পারেনি ওবামা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিআইএ তথা সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি গঠন করে। প্রতিষ্ঠাকালে এই এজেন্সিতে বেশ কয়েকজন নারী ছিলেন। এদের মধ্যে ভার্জিনা হল গুপ্তচর হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সিআইএ প্রধান করা হয়নি। সে সময় সিআইএ এজেন্সিতে নারী পুরুষের বেতন বৈষম্য ছিল। পুরুষরা নারীদের চাইতে বেশি বেতন পেতেন। একসময় সিআইএতে কাজ করা নারীদের হেয় করে বলা হতো পেটিকোট প্যানেল।কিন্তু এখন দিন বদলেছে। সিআইএতে এখন ৫০ শতাংশের ওপর নারী কাজ করে।
সিআইএ তে নারীরা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাশিয়ার কুখ্যাত গুপ্তচর অলড্রিক আমেসকে শনাক্ত করে সিআইএর নারীরা। আল কায়দার মাথা ওসামা বিন লাদেনকে অনুসরণ করে বের করতে প্রতিষ্ঠানটির নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সূত্র : গার্ডিয়ান, এনডিটিভি, ওয়াশিংটন পোস্ট
[ad_2]