[ad_1]
তালেবান জঙ্গিদের গুলিতে আহত হবার পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে প্রচারাভিযান চালানোর সময় ২০১২ সালে মালালাকে গুলি করে জঙ্গিরা। ২০ বছর বয়সী মালালা এখন নারীশিক্ষা ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
‘স্পর্শকাতরতা’ বিবেচনা করে তার পাকিস্তান সফরের বিস্তারিত গোপন রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের টেলিভিশনে অবশ্য একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যাতে মা-বাবার সঙ্গে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায় মামালাকে। এ সময় সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মালালা চারদিন পাকিস্তানে থাকবেন এবং তার সঙ্গে মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তবে তিনি তার নিজের শহর সোয়াত সফর করবেন কী না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
মাত্র ১১ বছর বয়সে মালালা তালেবান শাসনে তার জীবন কেমন চলছে তা নিয়ে বিবিসি উর্দু সার্ভিসে লেখা শুরু করেন। নারী শিক্ষা ও জঙ্গিদের নিপীড়ন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সে মালালা স্কুলবাসে করে যাওয়ার সময় তালেবানের হামলার শিকার হয়। তার ওপর হামলার ঘটনা বিশ্বজুড়ে তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে পাকিস্তানের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি তার পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সুস্থ হওয়ার পর শিশুদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। পিতা জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে শিশুদের জন্য কাজ করতে মিলে গঠন করেন মালালা তহবিল। এই ফান্ড দিয়ে তিনি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, জর্ডানের মতো দেশে নারীশিক্ষায় বিনিয়োগে কাজ করছেন।
২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তালেবানের হামলায় বেঁচে যাওয়ার পর আবারো তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
মালালা বহুবারই পাকিস্তানে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে তার নিজ শহর সোয়াতে- যেটি তার ভাষায় ‘পৃথিবীতে একটি স্বর্গ। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মালালা বলেন, তিনি তার দেশের নদী ও পাহাড়গুলোকে খুব মিস করছেন। দেশের মাটিতে পা রাখতে চান। সূত্র: বিবিসি
[ad_2]