গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০

Feb 16, 2025 - 16:04
 0  28
গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০
ছবি : সংগৃহীত

গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে আস্তমা ও কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দারা। রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ নিয়ে জমিতেই দুই কৃষকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এ ঘটনায় দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রোববার সকালে গ্রামবাসীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আস্তমা গ্রামের আহতরা হলেন- আক্তার হোসেন, দুলাল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শামসুজ্জামান, নাছির আলী, আবদুল জলিল, খাইরুল আমীন, এমরান হোসেন, সাদিক মিয়া, নুরুজ্জামান ও সৌরভ হোসেন । এদের মধ্যে  আক্তার হোসেন ও দুলাল মিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, কামরুপদলং গ্রামের আহতরা হলেন- বাতির আলী, সুন্দর আলী, সুজন মিয়া, কালাই মিয়া , মতিউর রহমান, শওকত আলী, নবী হোসেন ও শাফি আহমেদ। এ গ্রামের আহত আরও কয়েকজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গুরুতর আহত বাতির আলী, সুন্দর আলী ও সুজন মিয়াকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আস্তমা গ্রামের আঙ্গুর মিয়া বলেন, ‘গরু অবুজ প্রাণী। গরুকে কেউ বলে দেয় না যে কারো জমিতে গিয়ে ধান খেয়ে আয়। কিন্তু গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে সুরুজ মিয়াকে মারধর করে। এতে আমাদের গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় কামরুপদলং গ্রামের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন এসেছিলেন ঘটনাটি মীমাংসা করেতে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা হবে। কিন্তু রোববার সকালে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’

কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবারে একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শেষ করে দিতে। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার না মেনে সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে আক্রমণ করতে আসে। পরে আর কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকেনি।’

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow