গাইবান্ধা-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক
সর্বোচ্চ-ভোট-পেয়ে-বিজয়ী-হওয়ার-আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার রাজনীতিতে যে ক’জন জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব সৎ ত্যাগী নেতা রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি অবিচল আনুগত্য রেখে জেল, জুলুম, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে আজও মাঠে টিকে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী বান্ধব এই নেতা।
আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফশিল এখনো ঘোষণা না হলেও চারিদিকে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এই হাওয়া লেগেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছাড়িয়ে ভোটারদের মাঝেও। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন গত বছরের ৫ই আগস্ট পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে দেশ। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
দল ও দেশের জন্য নিঃস্বার্থ আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাওয়া নেতা ডা. মইনুল হাসান সাদিক এবার গাইবান্ধা-৩ সংসদীয় আসনে এমপি হিসেবে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন। তাঁর প্রিয় পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুরকে মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা দিনরাত সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছেন তিনি।
জানা যায়, অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক নানা জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। পেশায় চিকিৎসক ডা. সাদিক দীর্ঘদিন ধরে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে স্থানীয়দের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন। এছাড়া শীত মৌসুমে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম, বন্যা পরবর্তী সময়ে তাদের পুনর্বাসন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। এছাড়াও নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা থেকে জামিন করানো তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোসহ বিভিন্ন বিপদ আপদে তাদের পাশে থাকাটাও ছিল প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয় ডা. মইনুল হাসান সাদিক তার দুটি বাড়ি বিএনপি অফিস বানানোর কারণে সাদুল্লাপুরের বাসা ২০২৪ সালে এবং পলাশবাড়ী বাসা ২০২০ সালে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় আওয়ামী দোসররা।
স্থানীয়দের মতে, দল ও দেশের জন্য সামাজিক কর্মকাণ্ড নিঃস্বার্থ আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাওয়া নেতা ডা. মইনুল হাসান সাদিককে আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।
ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, ‘‘নির্বাচন দিলেই বিএনপির বিজয় এ আসনে সুনিশ্চিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। আর সেই প্রতিরোধ হবে ব্যালটের মাধ্যমে। তরুণ ভোটাররা আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি জনগণের দল। জনগণের অধিকার আদায়ে ফ্যাসিস্ট দ্বারা দীর্ঘ ১৬ বছর নির্যাতিত হয়েছি। বিগত তিন সংসদ নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আমরা ভোটের দিনক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছি।’’
বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. মইনুল ইসলাম সাদিক বলেন, ‘‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমার পরিবার ও আমি দলকে অনেক দিয়েছি। এখন পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুরবাসীর প্রত্যাশা তারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। আমার উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা সারা উপজেলাবাসী জানে। নেতাকর্মীকে সুসংগঠিত করেছি, ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। মানুষের পাশে থেকেছি। আমার নেতাকর্মীরা জেল খেটেছে আমি তাদের জামিন করিয়েছি। তাদের পরিবারের পাশে থেকেছি।’’
ডা. সাদিক বলেন, ‘‘খুনী হাসিনার আমলে আমি জেলে গিয়েছি। আমার নামে ৭ টা মামলা হয়েছে। আমার দুটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্যাতনকে উপেক্ষা করে পুলিশের বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়েই আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি। আমি দীর্ঘ সময় বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়েছি এখনো দিচ্ছি। দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি মনে করি আমার কাছেই ধানের শীষ নিরাপদ। আমি শতভাগ আশা করি আমার হাতেই ধানের শীষ আসবে। এবং আমি সর্বোচ ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।’’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩। এ আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ লাখ ৫ হাজার ৮৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
What's Your Reaction?






