সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস'র অডিটর রুহুল সাঈদের লাগামহীন কমিশন বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স বিভাগের অডিটরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বেশ গুরুতর একটি বিষয়। সাধারণত, এই ধরনের অভিযোগের মধ্যে ঘুষ গ্রহণ, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বা জালিয়াতি করে বিল উত্তোলন, অথবা পেনশন কেইস নিষ্পত্তিতে কমিশন বানিজ্য এসব দুর্নীতি যেন তাদের নিত্যদিনের ব্যাপার। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো তেমনিই এক দুর্নীতিবাজ অডিটরকে।
টি এম রুহুল সাঈদ, অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসে। অনৈতিকভাবে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সূত্র বলছে, অডিটর রুহুল সাঈদ প্রতিটি বিল পাস করতে ৫% কমিশন নেন। সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিস থেকে বদলি করা হলেও অদৃশ্য কারণে আবারও বদলি হয়ে ফেরত আসেন তিনি।
যানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসে তাহার অধিনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সদর হাসপাতাল, পেনশন কেইস নিষ্পত্তি, এলজিইডিই, এলএ চেকসহ অধিকাংশ বিল তিনি ৫% কমিশনের ভিত্তিতে পাশ করেন। আর কমিশন না দিলেই হয়রানির শিকার হতে হয় বিল গ্রহীতাদের।
অডিটর টি এম রুহুল সাঈদ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। রাজধানীর উত্তরায় কিনেছেন ফ্ল্যাট। নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। শুধু তাই নয় ৮০ লক্ষ টাকার সনঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত অডিটর টি এম রুহুল সাঈদ তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার বাসা সিরাজগঞ্জ তাই বদলি যেখানেই হোকনা কেন আমি আমার সুবিধার জন্য সিরাজগঞ্জ চলে আসি। এ বিষয়ে আপনার (গণমাধ্যম) সাথে পরে কথা হবে।’’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার আব্দুল মতিন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
What's Your Reaction?






