আগামী বছর রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ : বিসিবি সভাপতি

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য ক্রিকেট উৎসব। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দেন, আগামী বছর রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচসহ বিপিএল ও প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ আয়োজন করা হবে।
রোববার (২২ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে অংশ নেয় অনূর্ধ্ব–১২ খুদে ক্রিকেটাররা, যারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ছেলেদের ৬টি ও মেয়েদের ৬টি দলের মাধ্যমে ৬ ওভারের ম্যাচে মাঠ মাতায়। একইসঙ্গে আয়োজন করা হয় পেসার ও স্পিন হান্ট, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, ‘হিট দ্য স্টাম্প’ চ্যালেঞ্জ এবং ঐতিহাসিক টেস্ট মুহূর্তের ভিডিও প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ক্রিকেটকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেই এ আয়োজন। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে এই আয়োজন। কীভাবে রাজশাহী থেকে জাতীয় দলের আরো খেলোয়াড় পাওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে আলোচন হবে। রাজশাহীর স্টেডিয়ামে যে গ্রাউন্ড ফিল্ড আছে এমন গ্রাউন্ড ফিল্ড আনেক দেশেরই নেই। এত সুন্দর উইকেট নেই। দেশব্যাপী যদি আমরা এমন ফ্যাসিলিটি তৈরি করাতে পারি তাহলে অটোমেটিক্যালি ক্রিকেটার বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে প্রথম শ্রেণির খেলা হয়। আমার যেটা করবো রাজশাহী রিজিউনের মধ্যে প্রিমিয়াল লিগ চালু করবো। আমরা এখানে ক্রিকেট অ্যাক্টিভিটি আরো বাড়াবো। ট্রেনিং, কোচিং ও আম্পায়ারিং প্রোগ্রাম বাড়াবো। সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ কথা এখানে বয়সভিত্তিক খেলা আমার দু’দিনের জন্য চেষ্টা করব।
গ্রাউন্ড ও বিপিএল চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, রাজশাহীতে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের পর আর কোন বড় খেলা সেভাবে হয়নি। আমরা খেলাটাকে ঢাকার বাহিরে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই। বিভিন্ন জায়গায় না ছড়ালে দর্শকদের যে উৎসাহ বা খেলোয়াড়দের যে উৎসাহ সেটি বর্ধিত করা যাবে না। এই মাঠে অন্তর্জাতিক ম্যাচ করার জন্য কিছু ফ্যাসিলিটির উন্নয়ন করা দরকার। সে ব্যপারে আমার ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা প্রস্তবনা দিয়েছি। অতি সত্তর এনএসসি এটিকে হাতে নিবে। আগামী বছর এর চেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বা বিপিএলের খেলা আমার দেখতে পাব।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি এবং বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। মাঠে অংশ নেয়া এক খুদে ক্রিকেটার নিশান বলেন, বুলবুল স্যারের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে আমি খুবই গর্বিত।
তার অভিভাবক আহম্মেদে আলী বলেন, রাজশাহী থেকে আগে প্রায় জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিল, এখনো আছে। তবে আবারো রাজশাহী ছেলেরা নেতৃত্ব দিতে পারবে। যদি এভাবে তাদের খেলার সুযোগ করে দেয়ার পাশপাশি এখানে অন্তর্জাতিক ম্যাচ চালু হয় তাহলে ছেলেদের আগ্রহ আরো বাড়বে।
ক্রিকেট উৎসব ঘিরে রাজশাহী স্টেডিয়ামে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে এমন আয়োজন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে নতুন আশা জাগিয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহীর মতো ঐতিহাসিক ক্রিকেট ঘাঁটির জন্য এটি এক নতুন সম্ভাবনার বার্তা।
What's Your Reaction?






