রাকসুতে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, নির্বাচনে অটল প্রশাসন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি) শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। তবে ২৫ তারিখে রাকসু নির্বাচনের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। প্রশাসন ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসে সময় কাটাচ্ছেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন মার্কেট, আমতলা, টুকিটাকি চত্বরসহ জনবহুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। ক্যাম্পাসের বাস চললেও শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। খাবার দোকানগুলোতে আসন ফাঁকা, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ।
এদিকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আজও প্রার্থীদের সরব প্রচারনা লক্ষ্য করা যায়নি। বেশ কিছু প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে হল ছেড়ে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছেন। কমপ্লিট শাটডাউন রেখে রাকসু নির্বাচন হতে পারেনা। এছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর একতরফা নির্বাচন কিংবা প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। সকল পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বললেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে ২৫ তারিখে নির্বাচনের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। শেষ হয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরির কাজও। কমপ্লিট শাটডাউন সঙ্গে নিয়ে আদতে নির্বাচন হবে কি না সে বিষয়ে এখনো বলার সময় আসেনি বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার ড. পারভেজ আজহারুল হক।
এর আগে রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
What's Your Reaction?






