রাজস্ব কর্মকর্তার ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক কোথায় ?

রাজস্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৯৮২ সালে চাকরিতে প্রবেশ করা খালেক অবসর নেন ২০১৮ সালে। কিন্তু তার নামে কিংবা পরিবারের সদস্যদের নামে যে সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে বিদ্যমান, তা কোনভাবেই একটি সরকারি চাকুরিজীবীর আয় অনুযায়ী যৌক্তিক নয়।
তার অধীনে কাজের সময় বিপুল ফাইল নিয়ন্ত্রণে রাখতেন যার মাধ্যমে ‘ঘোষ বিনিময়’সহ নানা অবৈধ মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকার জিপিও (G.P.O.)-তে শুধু এফডিআর (FDR) আকারে রয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় রয়েছে একটি রাজকীয় বাড়ি, যার মালিকানা রয়েছে তার পরিবারের নামে। ওই বাড়ির পেছনে কালো টাকার জোরালো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ।
মোঃ আব্দুল খালেকের স্ত্রী নাজমা পারভিন ও কন্যা খালেদা পারভিন প্রীতির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে রয়েছে একাধিক অ্যাকাউন্ট।
তার ছেলে এক সময় জাতীয় দৈনিক সমকাল-এ চাকরি করতেন। অভিযোগ রয়েছে, খালেকের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কারণে চাকরি হারিয়েছেন তার ছেলে।
বর্তমানে তিনি কিটায়েড হলেও বাসার নিচে ব্যক্তিগত অফিস স্থাপন করে নানা ফাইল সংরক্ষণ ও আর্থিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, তার কার্যকালীন সময়ে ‘সার্কেল-৬’ ইনকাম ট্যাক্স অফিসে K অক্ষরের অধীনে থাকা সকল ফাইল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। এসব ফাইলের অনেকেই এখন নাজমুল নামের ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের উৎস কীভাবে বৈধ রূপ পেল? ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, রাজকীয় বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংকে স্ত্রীর ও মেয়ের নামে কোটি কোটি টাকা কীভাবে সংরক্ষিত হলো ?
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কি এসব বিষয়ে কোনো কার্যকর তদন্ত শুরু করেছে ?
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হলে এ ধরনের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইল বিজনেস’ এবং পরিবারভিত্তিক সম্পদ পাচারের চক্র ভেঙে ফেলতে হবে।
What's Your Reaction?






