থানা পুলিশের নির্যাতনে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু, মামলা নেয়নি আদালত

Jul 11, 2025 - 23:32
 0  4
থানা পুলিশের নির্যাতনে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু, মামলা নেয়নি আদালত
ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা মুরাদনগরের বাঙ্গরা থানায় পুলিশের নির্যাতনে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শেখ শাহ পরান রুবেল কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করলে মামলা গ্রহন করেননি জেলা দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান।

বুধবার (৯ জুলাই) সকালে কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমানসহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মী শেখ শাহজালাল জুয়েল প্রকাশে শেখ জুয়েলকে বাঙ্গরা বাজার থানায় নির্যাতন করে  হত্যার অভিযোগ এনে  মামলার আবেদন করেন নিহতের আপন ছোট ভাই শেখ শাহ পরান রুবেল। তবে মামলার আবেদন শুনানিকালে মামলাটি গ্রহন না করে পুলিশের আইজিপি বরাবর আবেদনের পরামর্শ দেন জেলা দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান।

এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৯ জুন ২০২৫ সালে আমার মোয়াক্কালের বড় ভাই শেখ শাহজালাল প্রকাশে শেখ জুয়েলকে থানা হাজতে নির্যাতন করে হত্যা করে বাঙ্গরা থানা পুলিশ।  হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে আজ আমরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করলে মামলাটি গ্রহন করেনি আদালত। তবে মামলার আবেদন শুনানিকালে মামলাটি গ্রহন না করে পুলিশের আইজিপি বরাবর আবেদনের পরামর্শ দেন জেলা দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান।

মামলার বাদী শেখ শাহ পরান রুবেল জানান, গত ১৯ জুন ২৫ এ আমার বড় ভাই শেখ শাহজালাল প্রকাশে শেখ জুয়েলকে কোন মামলা /অভিযোগ ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে পুলিশ।  আমি আজ আদালতে হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করলে মামলা নেননি জেলা দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান। আদালতে যদি আমরা বিচার না পাই তাহলে আমরা কার কাছে বিচার পাব?  আমার ভাইয়ের হত্যাকারীরা কি বেঁচে যাবে?

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়- মামলার বাদী শেখ শাহপরান রুবেল বাংলাদেশ  জাতীয়তাবাদী যুবদল ৬ নং পূর্ব বাঙ্গরা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক।

তিনি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, আসামীগন ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো ও আক্রমণের সাথে জড়িত। আমার ভাই এলাকায় ডিস ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবত আমার ভাইয়ের কাছে মোটা অংকের মাসোহারা দাবি করেন এবং ব্যাবসা চালাতে হলে তাদেরকে ঘুষ দিতে হবে বাধ্যতামূলক করে দেন। আমার ভাই ঘুষ দিতে রাজি না হইলে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিনা অপরাধে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এই খবরে আমাদের পরিবার থানায় এসে তাকে সুস্থ দেখতে পায়। তখন আমরা আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার কোন উত্তর দিতে পারেননি। সে সময়ে আমার ভাইয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ভাবি ভিতরে ঢুকতে চাইলে তারা দেননি। পরে রাত ৮:৩০ এ আমার ভাবিকে জানানো হয়। আমার ভাইকে থানা থেকে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তখন আমরা সবাই থানায় গিয়ে শোনি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি জরুরি বিভাগে  আমার ভাই মৃত। পরবর্তীতে ডাক্তারের সুরাত হাল রিপোর্টেও আমার ভাইয়ের উপর পাশবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow