নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, অফিস চলে দালাল দিয়ে

May 31, 2025 - 21:47
 0  18
নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, অফিস চলে দালাল দিয়ে
ছবি : সংগৃহীত

আরিয়ান খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার  সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। রীতিমতো অঘোষিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে সেখানে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে অফিসের কর্মচারীরা। দালাল ছাড়া কেউ অফিসে সেবা নিতে গেলে শুরু হয় নানা টালবাহানা ও হয়রানি। চাহিদামতো টাকা না দিলে হয়রানির যেন অন্ত নেই।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক ভুক্তভোগী ইউসুফ চৌধুরী বিল্লু বলেন, ৫ হাজার থেকে শুরু করে যা নিতে মন চায়, তা নিয়ে নেয়, মোটামুটি টাকা না দিলে ফাইল হারিয়ে যায় এবং ইউএনওর সাক্ষাৎ লাগবে, না হলে, A, B, C দেখা হবে।

তিনি বলেন, মোটামুটি টাকায় সব কিছু, টাকা দিলে কিছু লাগেনা না, কারো সাক্ষাৎ লাগে না এবং A, B, C, এগুলো পর্যন্ত লাগেনা।

ওনি সব দালাল এর কাজ করে, ৫ হাজার থেকে শুরু করে, ১০ হাজার পযন্ত টাকা নিয়ে কাজ করেন।

সকাল থেকে বিকাল পযন্ত যারা বসে থাকে, তাদের কে একটি একটি অজুহাতে দেখিয়ে চলে যায়তে বলে আর যারা টাকা দেয় তাদেরকে ৫ মিনিট এর মধ্যে কাজ করে দেন।

সরেজমিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের দিকে নির্বাচন অফিসের সামনে ও বিভিন্ন কক্ষের ভেতর সেবাগ্রহীতাদের ঘুরতে দেখা যায়। নির্বাচন কর্মকর্তা ভিড় ঠেকাতে অফিসের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় শতাধিক সেবাগ্রহীতা এসেছেন। বেশ কয়েকজন দালাল অফিসের ভেতরে অবস্থান করছে। সেবা গ্রহীতারা দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই মেলে কাজের রাস্তা। দালালদের অধিকাংশই নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারীর ঘনিষ্ঠজন বলে জানা যায়।

নেজাম উদ্দিন নাজিম নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, আমার নিজের ভোটারের ফাইল টাকা না দেওয়ার কারনে ছয়মাস এর বেশি সময় আটকে গেছে। আমার সাথে যাঁরা আমার এলাকার ছেলেরা ভোটারের ফাইল জমা দিয়ে ছিল সবাই আবার ৫০০০, ৩০০০, করে টাকা দিয়ে আইডি কার্ড পাইছে। গেলে প্রথম রমজান ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ এর ৭,৮,৯, ওয়ার্ডের ভোটারের ফাইলে যেই নির্বাচন অফিসার এর সাক্ষর লাগে প্রতিটা সাক্ষর প্রতি ৫০০ করে নিয়েছে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  হুমায়ুন কবির। তিনি শত শত সেবাগ্রহীতার জন্মনিবন্ধন আটকে রেখে টাকা আদায় করতে হয়রানি করছে।

হয়রানির কারণ জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা দূর ব্যবহার করেন অনিয়ম ও হয়রানি বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, আমি কোন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নেইনি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow