ভারতের ‘র’ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যা বললেন হাদির বোন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর পরিবারের সিদ্ধান্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ওসমান হাদির ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তার বোন মাহফুজা। তিনি বলেছেন, 'ভারতের ‘র’ আছে, আওয়ামী লীগ আছে - তাকে বাঁচতে দেবে না। আমার ভাইয়ের ওপরে যারা গুলি করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।’
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠির নলছিটিতে ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাদির বোন মাহফুজা। তার আগে নিজ বাড়িতে কান্নারত অবস্থায় সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও বলেন, 'আমার ভাই ভারতবিরোধী লেখা লেখে, বাংলাদেশপন্থী লেখা লেখে। ওর রন্ধে রন্ধে দেশপ্রেম।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি ওকে (হাদি) আমেরিকা পাঠিয়ে দিব। আর দেশে রাখব না, ভারত ওরে বাঁচতে দেবে না। ভারতের ‘র’ আছে, হাজার হাজার বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ আছে। এখন আবার মির্জা আব্বাসের বিপরীতে নির্বাচনে দাড়াইসে। ওর শত্রুর অভাব নাই। এরা জিয়াউর রহমানকেও বাঁচতে দেয় নাই।'
এদিকে, ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করেছে জুলাই আন্দোলনের সমমনা দলগুলো। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
অবরোধকারীরা জানান, ওসমান হাদীর ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এর আগে, দুপুরে জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর কালভার্ট এলাকার কাছে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি করার পর হামলাকারীরা দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে রিকশাতেই হাসপাতালে আনা হয়।
শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসমূহ। বিক্ষোভ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ওসমান হাদির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
What's Your Reaction?

