শান্তিরক্ষা মিশনে হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়িতে শোকের মাতম

Dec 14, 2025 - 15:15
 0  2
শান্তিরক্ষা মিশনে হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়িতে শোকের মাতম
ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। গত (৭ নভেম্বর) তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদানে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের আকন্দ বাড়ির হযরত আলীর ছেলে। সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেসওয়েটার পদে কর্মরত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন মেঝো। তার বড় ভাই মো. মোস্তফা প্রবাসী এবং ছোট ভাই মো. শাহিন মিয়া বাড়িতে কৃষিকাজ করেন।

স্ত্রী আর তিন বছরের একমাত্র ছেলে ইরফানকে রেখে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির উঠোনজুড়ে এখন শুধু কান্না আর হাহাকার। বাবার আদর কী, তা বোঝার আগেই চিরতরে পিতৃহারা হলো ছোট্ট ইরফান।

প্রায় এগারো বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের স্বপ্ন নিয়ে এক মাস সাত দিন আগে সুদানে যান তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্তানকে ভালো ভবিষ্যৎ দেওয়ার আশাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশের মাটিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

প্রতিবেশীরা বলেন, ‘শান্ত স্বভাবের এই মানুষটি দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেলেন। জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম চলছে। সবাই এক কণ্ঠে শহিদ জাহাঙ্গীর আলমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন।

নিহতের ভাই শাহিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ভাই আমাকে খুব আদর করতেন। যখন যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন। কিছুদিন আগেও আমাকে ফোন দিয়ে বলছে- মা-বাবার সেবা যত্ন করতে। 

নিহতের বাবা হযরত আলী বলেন, এক মাস আগে আমার বাবা মিশনে গেছে। সে যাওয়ার সময় বলছে- তার ছেলেকে দেখে শুনে রাখতে। সে যাওয়ার সময় আমাকে টাকা দিয়ে গেছে। আমার বাবাটা আর নেই।

পাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস বলেন, আমি ঘটনার শোনার পরই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow