তীরে এসে তরী ডুবালো বিএনপি!

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি ক্রমশই নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে ফেলছে বলে মনে করছেন অনেকেই। দলের ভেতরের অস্থিরতা, নেতাদের বিতর্কিত ভাষ্য এবং অসংলগ্ন আচরণ—সব মিলিয়ে একে এখন অনেকেই "নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা" বলেই আখ্যা দিচ্ছেন।
সাধারণ সমর্থকরাও অনেক সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। ১৭ বছরের রাজনৈতিক অচলায়তন, ব্যর্থ কৌশল এবং নেতৃত্বের ভেতরের মানসিক চাপে অনেকেই নিজেদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এমনকি মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিভ্রান্তিমূলক বার্তার প্রভাবে নানা অসংলগ্ন আচরণে লিপ্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির উচিত ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণের কৌশল নেওয়ার আগে দলকে অভ্যন্তরীণভাবে শৃঙ্খলিত করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা নির্বাচন বর্জনের পথ বেছে নিয়ে দলীয় ভিত্তিকে আনেক দুর্বল করেছে।
যদি নেতারা সময়মতো সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারতেন এবং কর্মীদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারতেন, তবে জনগণের আস্থা অর্জন করা কঠিন হতো না। এখন অনেকের মত, দলের অভ্যন্তরীণ ‘মানসিক চিকিৎসা’ আগে প্রয়োজন ছিল, যা উপেক্ষিত হয়েছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে, কোনো ধরনের জোর-জুলুম ছাড়াই যদি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বিএনপির ফলাফল ভরাডুবির কাছাকাছি হবে—এমন আশঙ্কা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের।
লেখা- সাংবাদিক নিথর মাহবুব এর ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত
What's Your Reaction?






