আসছে যুগান্তকারী ফিচার, মোবাইল নম্বর ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ

আট থেকে আশি—আজকাল প্রায় সবাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। বন্ধু, পরিবার, অফিসের কাজ কিংবা ব্যবসায়িক আলাপ সব ক্ষেত্রেই যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই অ্যাপ। তাই ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরো সহজ ও নিরাপদ করতে নিয়মিত নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এবার এসেছে এমন এক পরিবর্তনের খবর, যা বদলে দিতে পারে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থার ধারা।
মার্ক জুকারবার্গের মালিকানাধীন মেটা জানিয়েছে, শিগগিরই মোবাইল নম্বর ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা যাবে। অর্থাৎ, কারো সঙ্গে চ্যাট বা কল করতে আর প্রয়োজন হবে না ফোন নম্বরের। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ফিচার চালু হলে ব্যবহারকারীরা নাম প্রকাশ না করেও আরো নিশ্চিন্তে যোগাযোগ করতে পারবেন।
নতুন ব্যবস্থায় প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে থাকবে একটি ইউনিক ইউজারনেম, ইনস্টাগ্রাম বা টেলিগ্রামের মতো। সেই ইউজারনেম দিয়েই যেকোনো ব্যবহারকারীকে খুঁজে পাওয়া যাবে—ফলে ফোন নম্বর শেয়ার করার প্রয়োজন পড়বে না। এটি বিশেষ করে সেইসব ব্যবহারকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে চান বা ব্যবসায়িক কাজে আলাদা পরিচয়ে যোগাযোগ বজায় রাখতে চান। বর্তমানে বেটা ব্যবহারকারীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে শিগগিরই এটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ এনেছে আরেকটি আকর্ষণীয় সুবিধা—মেসেজ অনুবাদ ব্যবস্থা। বিদেশি ভাষায় পাঠানো বার্তা এখন সরাসরি অনুবাদ করে দেওয়া সম্ভব। কোনো বার্তা না বুঝলে সেটিতে লং-প্রেস করলেই দেখা যাবে ‘Translate’ অপশন। সেখানে ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন ভাষার তালিকা। যেই ভাষায় চান, সেটি বেছে নিলেই মুহূর্তের মধ্যে বার্তাটি অনুবাদ হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক আপডেটে হোয়াটসঅ্যাপ যুক্ত করেছে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। যেমন—লক চ্যাট, চ্যানেলস, এবং মাল্টি-অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট, যা একই ফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল ব্যবহারের সুযোগ দেয়। এতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন আলাদা রাখা আরো সহজ হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার প্রচেষ্টায় হোয়াটসঅ্যাপ এখন শুধু মেসেজিং অ্যাপ নয় বরং এক সম্পূর্ণ ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হচ্ছে। আর নম্বরবিহীন যোগাযোগের এই নতুন ফিচার—নিশ্চিতভাবেই ভবিষ্যতের ডিজিটাল যুগে নিরাপদ ও স্বাধীন যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায় খুলে দেবে।
What's Your Reaction?






