ইউপি চেয়ারম্যান-পুলিশ সদস্যের ঘুস লেনদেনের ভিডিও ফাঁস

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী ও পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমানের ঘুস লেনদেনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে; উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ঘুস লেনদেনের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুগান্তর প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তবে কবে, কখন এবং কোন স্থান থেকে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভিডিওটি অন্তত তিন মাস আগের।
সরবেশ আলী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান রৌমারী থানার সাবেক কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ওসির সরকারি চালক ছিলেন। পরকীয়ার একটি ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘুস লেনদেনের ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান ওই ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর দিকে তাকিয়ে আছেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী চারপাশে ভালোভাবে দেখে তার পকেট থেকে টাকার একটি বান্ডিল বের করে ওই পুলিশ কনস্টেবলের পকেটের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। পরে টাকাগুলো নিয়ে নেন পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান ঘুস নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই চেয়ারম্যান আমাকে চা খাওয়ার জন্য পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দেন, তাহলে কি এটা ঘুস। মানুষ তো আর ফেরেশতা নয় যে, চা খাওয়ার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ওসি সাহেব তার দেশের (গ্রামের) বাড়ির মসজিদের জন্য কিছু টাকা চেয়েছিলেন। পরে একদিন রৌমারী উপজেলার চত্বরে আমি এক কনস্টেবলকে দশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আর ওই পুলিশ সদস্যকে ৫০০ টাকা ঈদ বোনাস হিসেবে দিয়েছি। তবে কাউকে আমি ঘুস দেইনি। ওসি সাহেবের নাম জানতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। তবে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কারবারে জড়িতের অভিযোগ উঠে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?






