তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষকের জামিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শাহবাগ থেকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক এ কে এম শহিদুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত তাকে জামিনের আদেশ দেন।
শহিদুল ইসলাম রাজধানীর গাবতলী কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গতকাল শনিবার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান সমকালকে জানান, ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের সময় শহিদুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মারধর করে তাকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে। তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় রাতেই এ কে এম শহিদুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিএনপি। এতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনো ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর এজন্য বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক বা ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপি এটাও বিশ্বাস করে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটা মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার, যা ব্যক্তিকে নির্ভয়ে নিজের চিন্তা, মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়। সুতরাং বিএনপি মনে করে, নিজের মত প্রকাশের কারণে শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ সঠিক হয়নি। তাই, অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
What's Your Reaction?

