‘নিখোঁজ’ বৈষম্যবিরোধী নেতা মামুন পূর্বাচল থেকে উদ্ধার

জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মামুনুর রশীদের খোঁজ মিলেছে।
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের মসজিদ থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ।
তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদিক রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে পূর্বাচল জামে মসজিদ থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা হাসপাতালে আসছেন।’
গত বুধবার রাতে উত্তরা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি মামুনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানায়। সংগঠনটির নেতারা জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পাশাপাশি র্যাব, পিবিআই, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়। মামুনকে উদ্ধারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন যুবশক্তির নেতারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে উদ্বেগ জানিয়ে লেখেন, ‘রাষ্ট্র যেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতি স্পষ্ট। গণমাধ্যমের নীরব ভূমিকাও শঙ্কার। এতে রাজনীতিতে পুরোনো ভয়ের সংস্কৃতি ফিরে আসতে পারে।’
মামুনের সন্ধান পেতে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে তার পরিবার। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে নিরাপদে স্বামীকে ফিরে পেতে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন মামুনের স্ত্রী খাদিজা।
মামুনের নিখোঁজ নিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতাও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার দাবি করেন। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে তার সন্ধান পাওয়ার খবর জানায় পুলিশ।
What's Your Reaction?






