অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স

Sep 20, 2025 - 22:02
 0  8
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া প্রতিনিধি

দেশের অন্যতম প্রধান সিনেমা হল যশোরের মণিহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একসময় মণিহার ছিল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম একক পর্দার সিনেমা হল। মণিহারের মতোই দেশের আরও একটি জনপ্রিয় সিনেপ্লেক্স, বগুড়ার মধুবন, আধুনিকায়নের পর চার বছর চলার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।

গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এ জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহে আর পর্দা উঠেনি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সটির স্বত্বাধিকারী আর এম ইউনুস রুবেল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টানা লোকসানের কারণে মধুবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

রুবেল বলেন, ‘মাসের পর মাস লোকসান খাচ্ছি। এই সপ্তাহে ‘নন্দিনী’ ছবিটি চালালেও দর্শক পাইনি। ছবি চালানোর খরচই ওঠে না। বিদ্যুৎ বিল বাকি, কর্মচারীদের বেতন নিজেদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। এভাবে আর চালানো সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাণ্ডবের পর আর কোনো ব্যবসাসফল সিনেমা আসেনি। ঈদ ছাড়া দেশীয় ছবি দর্শক টানতে পারছে না। বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসতো, প্রতিযোগিতায় দেশীয় ছবিও ভালো চলতো। কিন্তু আমদানি বন্ধ থাকায় আমরা টানা লোকসান সামলাতে পারছি না। যদি বিদেশি ছবি চালানোর সুযোগ সরকার দেয়, তবে ভবিষ্যতে আবার চালু করার কথা ভাববো।’

মধুবন সিনেপ্লেক্সে আসন সংখ্যা ছিল ৩৩৬টি। আধুনিকায়নের পর এ প্রেক্ষাগৃহে ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’ ও ‘বরবাদ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি ব্যবসা সফল হয়েছিল। দর্শকের ভিড় সামলাতে সর্বশেষ ‘বরবাদ’ ছবির একাধিক মিডনাইট শোও চালানো হয় এখানে।

১৯৭৪ সালে শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ইবনে মিজান পরিচালিত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে মধুবন। তখন এর ধারণক্ষমতা ছিল এক হাজার। ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনুস হলটির প্রতিষ্ঠাতা। বাবার সঙ্গে সিনেমা হলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন ছেলে আর এম ইউনুস রুবেল। তিনিই মধুবনকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করে মধুবন সিনেপ্লেক্স।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow