কুড়িগ্রামে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম রসুল রাজার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোলাম রসুল রাজাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ জনগণ।
রবিবার দুপুরে নাগেশ্বরী পৌরসভার ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদকে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
গত ২৩ জুলাই নাগেশ্বরী উপজেলার বিএনপির আহবায়ক গোলাম রসুল রাজা বেরুবারী ইউনিয়ন পথসভায় নাগেশ্বরী পৌরসভার বানিয়া পাড়া, ভূষুটারী গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিতে ফুসিয়ে উঠেছে অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ স্থলে মুকুল বলেন, বানিয়া পাড়া ভূষুটারী এলাকার মানুষ কর্মে বিশ্বাসী।আমাদের অত্র এলাকায় চাকুরীজীবী, শ্রমজীবী বিভিন্ন পেশায় নিয়েজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু বিএনপির আহবায়ক গোলাম রসুল রাজা আমাদেরকে চাঁদাবাজ, গুন্ডাবাহিনী সাঁজিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সৈয়দ আলী বলেন, আমাদের নাগেশ্বরী উপজেলার মানুষ অত্যন্ত শান্তপ্রকৃতির এসব শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এজন্য নাগেশ্বরী উপজেলায় কোন কিছু হলে এর দায়ভার রাজাকে বহন করতে হবে।
এসময় যুবক প্রজন্ম বলেন, এই গোলাম রসুল রাজাকে এসে জনতার সামনে ক্ষমা চেয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার মানুষকে শান্ত করতে হবে। তিনি আমাদের পুরো এলাকার জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। এখন আমরা শিশু কিশোরদের নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বিএনপির আহবায়ক গোলাম রসুল রাজার সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, নাগেশ্বরী পৌরসভার বানিয়া পাড়া ও বেরুবারী ইউনিয়নের মধ্যে একটি বিষয়ে বেরুবারীর স্থানীয় বাসিন্দাকে অপমান করা হয়। এরই প্রেক্ষাপটে আমি এই বাক্য ব্যবহার করি। কিন্তু পরে আমি আমার প্রকাশিত বক্তব্যের ক্ষমা চেয়েছি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক সংগঠনের পক্ষ থেকে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?






