বরিশালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেপ্তার

কাটা রাইফেল, ম্যাগজিন, তাজা গুলি, ধারালো অস্ত্রসহ মুলদীতে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার হয়েছে। সোমবার জয়ন্তী নদীর চরকালেখান ইউনিয়নের পূর্ব বানিমর্দন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নাজিরপুর নৌ পুলিশ ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ দিন আগে ডাকাতি করা ১টি ভেকু মেশিন, ১টি পল্টুন।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলো- গৌরনদী উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির, বাবুগঞ্জের আগরপুরের চর ফতেপুর গ্রামের ফিরোজ আকন, নতুন চর জাহাপুর গ্রামের সায়েম বেপারী, বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকার মো. মহিউদ্দিন ও কোতয়ালি মডেল থানা এলাকার হাবিব হাওলাদার।
মহিউদ্দিন যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত ও সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী বলেও জানায় পুলিশ।
নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক খন্দকার শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়ন্তী নদীর বানিমর্দন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা ডাকাতি করা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, পল্টুন ও ভেকু ফেলে পালানোর চেষ্টার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১টি কাটা রাইফেল, ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি, ধারালো অস্ত্র, ডাকাতি করা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ভেকু, পল্টুনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারদের সোমবার বিকেলে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে নৌ-পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পল্টুন ও ভেকু ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ওই ভেকু ও পল্টুন কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নের জনৈক নূর মোহাম্মাদ মোল্লার ইট ভাটায় রাখা হয়।
What's Your Reaction?






