রাজ্বস্ব আদায় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে মোংলা বন্দরে চলছে নানা কর্মযজ্ঞ

Aug 10, 2025 - 23:22
 0  1
রাজ্বস্ব আদায় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে মোংলা বন্দরে চলছে নানা কর্মযজ্ঞ
ছবি : সংগৃহীত

জসিম উদ্দিন, মোংলা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে আমদানী- রপ্তানী বানিজ্যে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। এছাড়া চলছে সক্ষমতা বাড়াতে নানা কর্মযজ্ঞ। চলতি বছরে ৯০০ (নয়শত) বানিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড গড়ার প্রত্যাশা বন্দর কতৃপক্ষের।

একটি সুত্র থেকে জানাযায়, মোংলা বন্দর নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ সমুদ্র বন্দরকে আরো লাভজনক  হিসেবে গড়ে তুলতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে সরকারের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিন এশিয়ায় মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক ও আধুনিক বাণিজ্যের হাব হিসেবে পরিনত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুত্রটি আরো বলছে, চীন মোংলা বন্দর নিয়ে অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির পরাশক্তি চীনের সহায়তায় মোংলা বন্দরের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, বর্তমানে বন্দরের মোট সক্ষমতার ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা বন্দরের শতভাগ সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুত সুফল পাবো।

তিনি বলেন, এ বন্দরের সক্ষমতা  শতভাগ ব্যবহার করা গেলে বছরে ১৫০০ বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন, এক লাখ টিইউজ কন্টেইনার, দুই কোটি মেট্রিকটন কার্গো হ্যান্ডলিং, ২০ হাজার রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি যাবে। আর ওই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে  বছরে ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান মুন্সী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩৯ দিনে বন্দরে মোট ৮৫টি জাহাজ নোঙর করেছে। গেল জুলাইতে মোংলা বন্দর দিয়ে মোট ৫১৮টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ হাজার ৪৫৯ টিইউজ। কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিকটন।

তিনি বলেন, অর্থ বছরের শুরুটা অনেক ভালো। তাই আমরা প্রত্যাশা করি নতুন বছরে ৯০০ জাহাজ আগমন সম্ভব হবে। সেই লক্ষে বন্দরে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছে।

বন্দর সুত্রে জানাযায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোংলা বন্দর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিট মুনাফা করেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, যেখানে অর্জিত আয় হয়েছে ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা। ফলে নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। পাশাপাশি বন্দরের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow