প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র শব্দ ব্যবহারের সুপারিশ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি সংবিধানের সংস্কারে গঠিত কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে ‘প্রজাতন্ত্রের’ পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ শব্দ ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুপারিশগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ হবে। রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি’ বিধানটি বিলুপ্তের সুপারিশ এবং পরিচিত হবেন ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই সংসদের মেয়াদ চার বছর করার সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে সর্বনিম্ন বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব সংবিধান সংশোধন উভয়কক্ষের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদনে হতে হবে। উভয়কক্ষে পাস হবার পর গণভোটের প্রস্তাব করা হবে।
জাতীয় সংসদে ২ জন ডেপুটি স্পিকার থাকবেন, যাদের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত হবেন। একজন সংসদ সদস্য একই সঙ্গে যেকোনো একটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না। সেগুলো হলো-প্রধানমন্ত্রী, সংসদনেতা এবং রাজনৈতিক দলের প্রধান। অর্থবিল ব্যতীত নিম্নকক্ষের সদস্যরা তাঁদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা, অর্থাৎ ফ্লোর ক্রসিংয়ের সুযোগ থাকবে। আইনসভার স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি সব সময় বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হবেন।
What's Your Reaction?