আছাদুজ্জামান মিয়ার শ্যালক ও ক্যাশিয়ার সোহান গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হামলার ঘটনায় করা তিন মামলার এজাহারনামীয় আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমান সোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার সোহান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাকে খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রমিক লীগ নেতা সোহান তার বোনজামাই দুর্নীতিবাজ সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ক্যাশিয়ার ছিলেন। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আছাদুজ্জামান মিয়াও বর্তমানে কারাগারে বন্দি।
আছাদুজ্জামান ও তার পরিবারের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ নিয়ে তদন্ত করছে দুদক। এরইমধ্যে তাদের পরিবারের ১০ সদস্যের সকল ব্যাংক হিসাবসহ যাবতীয় লেনদেনের তথ্য অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
সোহানের যত অবৈধ সম্পদ: আছাদুজ্জামান মিয়ার শ্যালক সোহানের নামে রাজধানীর অভিজাত বেইলি রোড, শাহজাহানপুরে ফ্ল্যাট রয়েছে।
বনশ্রী ও আফতাবনগরে একাধিক প্লট রয়েছে। এর মধ্যে বনশ্রীর একটি প্লটে বাড়ির নির্মাণকাজও চলছে।
হারিচুর রহমান সোহান মৌমিতা পরিবহন লিমিটেড, মধুমতি পরিবহন লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানির পরিচালক। এছাড়াও ঢাকার নিউমার্কেটে পিওর গোল্ড লিমিটেড নামে স্বর্ণের দোকানের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি।
২০২৪ সালের ১৫ মে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় এক ব্যবসায়ীর ছেলের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা দিয়ে ৪৩ শতাংশ জমি কেনেন সোহান। তবে স্থানীয়রা জানে আছাদুজ্জামানের টাকা দিয়েই এই জমি কেনা হয়েছে।
সোহানের নামে রাজধানীর বনশ্রী, আফতাবনগরে প্লট রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডির-৩২ নম্বরে তার নামে একটি বাড়িও কেনা হয়েছে। এছাড়া ফ্ল্যাট আছে নিউ বেইলি রোড, শাহজাহানপুরে। এর মধ্যে বনশ্রীর একটি প্লটে বাড়ির নির্মাণকাজ চলমান।
জাহাজ নির্মাণের জন্য ৩টি ডকইয়ার্ডেও অন্তত ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে সোহানের, মূলত আছাদুজ্জামান মিয়াই এই বিনিয়োগকারী বলে দুদকের অভিযোগসূত্রে বলা হয়েছে।
এছাড়াও হারিচুর রহমান সোহানের নামে ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশালে অন্তত ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। ঢাকার সায়েদাবাদ ও গুলিস্তান বাস টার্মিনালেও হারিচুর রহমান সোহানের নামে ইজারা নেওয়া আছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া শ্যালক সোহানের নামে অন্তত ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
What's Your Reaction?






