একদিনের জন্য সুইডেনের রাষ্ট্রদূত সিলেটের জয়িতা

সিলেটের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়িতা এক দিনের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকসের প্রতীকী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ‘গার্লস টেক ওভার’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে জয়িতা এ দায়িত্ব পান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানিয়েছে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরীরা প্রতীকীভাবে বিভিন্ন দূতাবাস, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থার নেতৃত্বে আসছে।
কন্যাশিশুরা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে, সহিংসতা থেকে সুরক্ষার দাবি তুলছে এবং সমতার পক্ষে আওয়াজ তুলছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আমি কন্যাশিশু- স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’।
প্রতীকী দায়িত্ব গ্রহণ করে জয়িতা দূতাবাসে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেয় এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘন ও বাল্যবিবাহের ভয়াবহ প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি সমাজে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মেয়েদের জন্য একটি স্বাধীন, সমতাপূর্ণ ও নিরাপদ সমাজ গঠনের আহ্বান জানান।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের প্রতীকী দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত জয়িতা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সঠিক দিকনির্দেশনা, সহায়তা ও সুযোগ পেলে আমরা আমাদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখতে পারি। তরুণদের বিশেষ করে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব দিতে অনুপ্রাণিত করতে পারি।
১৪ বছর বয়স থেকেই জয়িতা যৌন সহিংসতা, মাসিক স্বাস্থ্য, এইচআইভি/এইডসসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলেছেন। তিনি ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্সের প্রথম নারী কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আমরা বাংলাদেশের এবং বিশ্বের প্রতিটি কন্যার প্রতি সংহতি জানাই। প্রতিটি মেয়েরই নিজের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে এবং তার জীবন গঠনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সেই মতামতের মূল্য থাকা উচিত। সত্যিকারের গণতন্ত্র তখনই বিকশিত হয়, যখন নারী ও কন্যারা সমানভাবে নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়।
What's Your Reaction?






