ঝালকাঠিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

সাজ্জাত বিশ্বাস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। দিনটি উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে শ্রমিকদের মুখরিত স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। “দুনিয়ার মজুর এক হও, লড়াই করো”, “কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করো”, “মালিকের দালাল হুঁশিয়ার সাবধান”—এমন সব স্লোগানে দিনটি পেয়েছে আন্দোলনমুখর রূপ।
শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজাপুর পাইলট স্কুল মাঠে গিয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, উপজেলা বিএনপি সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, জাহিদুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ পারভেজ, নাজমুল হক, ছাইদুল খান, শ্রমিক দলের উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল খান, রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন প্রমুখ।
এদিকে সম্মিলিত ব্যাটারি চালিত পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি সমাবেশে মিলিত হয়। এতে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে, রাজাপুর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নও দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় পালন করে। শহর শাখার আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কার্যালয়েই আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের উপজেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম নশা, এ্যাংকর সিমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শামীম, সহ-সভাপতি দুলাল গাজী ও কাশেম আলী, সেক্রেটারি সাইদুর রহমান এবং উপদেষ্টা মঈনুল হক লিপু।
বক্তারা বলেন, “শ্রমিকরা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু তারা এখনও ন্যায্য সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত।” তারা আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে শ্রমজীবী মানুষের ত্যাগ ও অবদান অনস্বীকার্য। তাই দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবিতে ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেট চত্বরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে বহু শ্রমিক হতাহত হন। এই ঘটনাকে স্মরণ করেই বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
What's Your Reaction?






