ভোলায় একটি পিলার ভাঙ্গা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জজশীপের মধ্যে আলোড়ন

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পিছনের এবং রেকর্ড রুমের পাশের বাউন্ডারী ওয়ালের সাথে গেইট নির্মানের একটি পিলার ভাঙ্গা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জজশীপের প্রশাসনের মধ্যে টানাপোড়ন, শহরে জনসাধারনের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যা উভয়ের মধ্যে সুনাম ক্ষন্ন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন শহর বাসি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পিছনে এই ঘটনা ঘটে।
জেলা জজশীপের সাবেক নাজির ও বর্তমান আইনজীবি এবং এপিপি ইউছুফ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসন যে জমিটির মধ্যে জেলা প্রশাসকের বাসার ও রেকর্ড রুমের বাউন্ডারী ওয়াল করছেন সেই জমিটি ছিল মুন্সেফ কোয়াটারের রাস্তা, তখনকার সময়ে কোয়াটার থেকে মুন্সেফ সাহেবেরা এই রাস্তা দিয়ে আদালতে যাতায়াত করতেন। আর এখন যে ভবনটি ডিসি সাহেবের বাংলো বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি ছিল জেলারের বাংলো।
ডিসি সাহেবের বাংলো সার্কিট হাউজ রোর্ডে। জাতীয় পাটির সরকারের সময়ে যে কোন ভাবেই হোউক ডিসি সাহেবরা এই বাংলোয় বসবাস করেন। এর আগেও একবার এই রাস্তা বন্ধ নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জজশীপের বিচারকেদের নিরাপত্তার জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হবে বিদায় তা আর বন্ধ করা হয়নি। জেলা প্রমাসন কোন আলোচনা বা না জানিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছেন। জমি সরকারী, আর উভয়ই সরকারী প্রতিষ্ঠানর কর্মকর্তা। তারা অলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। এখনও করার সময় আছে, এখানে কারোর সাথে কারোর দ্বন্ধ বা বিরোধ নাই।
গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের বাংলোর বাউন্ডারী প্রাচীর নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে, ঠিকার কাজ করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্ধ করেছে। শুক্রবার আমি ঢাকায় ছিলাম, তখন ডিসি অফিস থেকে ফোনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কে বা কারা গেইটের নতুন নির্মিত একটি পিলার ভেঙ্গে ফেলেছে, আমি সাথে সাথে অনলাইনে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করে রেখেছি। এর বাহিরে আমি আর কিছুই জানিনা।
What's Your Reaction?






