শাপলা প্রতীক না পেলে সমাধান রাজপথে : সারজিস আলম

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিলে এর সমাধান রাজপথেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় হবিগঞ্জ সাইফুর রহমান টাউন হলে জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই, নেই আইনগত যৌক্তিক উত্তরও। আমরা মনে করি, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল বা এজেন্সির প্রভাবে কিংবা ভয়ে কমিশন শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। অথচ আমরা সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে বৈধভাবেই প্রতীক চেয়েছি। কমিশন চাইলে সহজেই শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রতীক না দিলে সমাধান হবে রাজপথে।
জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোর সাথে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের জন্য কাছাকাছি চিন্তার দলগুলোর ঐকমত্য জরুরি। একীভূত হওয়া বা অ্যালায়েন্স, দুই দিক নিয়েই আলোচনা চলছে। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আশানুরূপ আলোচনা হয়েছে, আর এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সাথে অ্যালায়েন্স নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে এখনই সিদ্ধান্ত জানানো সমীচীন নয়, সময়ই বলে দেবে কোনদিকে যাবে।
হত্যা ও বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার আগামী ৬ মাসের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা নেই- এটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। হত্যাযজ্ঞের নির্দেশদাতা তাদের ১০০ জনের যদি বিচারের রায় কার্যকর ও দোষী হয় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুনি হাসিনার বিচারের পূর্বে এই বাংলায় নির্বাচন হবে এটা জনগণ মেনে নেবে না।
সারজিস আরও বলেন, শহীদ পরিবারকে ব্যবহার করে কেউ কেউ মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে, এটা অপ্রিয় সত্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদদে এই বাণিজ্য চলছে। মামলাবাজ বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কিংবা যে কোনো দলের হোক, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। নিরপরাধ মানুষের হয়রানি কিংবা অপরাধীদের রেহাই, কোনোটাই এনসিপি চায় না।
তিনি আরও বলেন, দেশের ও জনগণের জন্য কাজ করতে ইচ্ছুকদের যাচাই-বাছাই করেই এনসিপিতে নেওয়া হবে। সংগঠন শক্তিশালী করা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে কমিটি গঠন করা হবে। সেই প্রক্রিয়ায় উত্তরাঞ্চলের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দ্রুত আহ্বায়ক কমিটি হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই হবিগঞ্জের কমিটি গঠন করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক, মৌলভীবাজারের মুখ্য সংগঠক প্রীতম দাশ, সুনামগঞ্জের সংগঠক এহতেশাম হক প্রমুখ।
What's Your Reaction?






