কুমিল্লায় বিএনপির দু’গ্রুপের উত্তেজনা, তোরণ ও মঞ্চ ভাঙচুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ অবস্থার মধ্যেই সমাবেশ মঞ্চ ও একাধিক তোরণ ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম ও যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনীর নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনীর অনুসারীরা তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে উপজেলায় যুব সমাবেশের আয়োজন করে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা উপজেলা সদরে সড়কের ওপর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছবি সম্বলিত বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ এবং বালুর মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করেন।
বিষয়টি জানার পর আবুল কালাম অনুসারী যুবদলকর্মী হাসান পাটোয়ারী নেতৃত্বে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ৪০-৫০ জনের একটি গ্রুপ হঠাৎ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে মঞ্চ ও বেশ কয়েকটি তোরণ ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের বাঁধা দেওয়া হলে রশিদ আহমেদ হোসাইনীর অনুসারী ৭ কর্মীকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনীর অনুসারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম অনুসারী যুবদল কর্মী হাসান পাটোয়ারী নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল আকস্মিকভাবে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরসহ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এ ছাড়াও তারা পাঁচ শতাধিক চেয়ারও ভাঙচুর করে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আবুল কালাম অনুসারী মাসুদুল আলম বাচ্চু বলেন, ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বিএনপির কেউ না। তার দলীয় কোনো পদ-পদবীও নেই। মনোহরগঞ্জে দলীয় কোন সভা সমাবেশ করতে হলে তাকে আবশ্যই দলীয় পদধারী হতে হবে এবং উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি লাগবে। তাছাড়া তার নেতাকর্মীদের মারধর হামলা ও প্যান্ডেল ভাঙচুরের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
What's Your Reaction?






