আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে ছিল : প্রেস সচিব

Nov 6, 2025 - 19:21
 0  3
আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে ছিল : প্রেস সচিব
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সরকারের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক ১৯৪৭ সাল থেকে ওঠানামা করছে, কখনো ভালো অবস্থায়, কখনো আবার খারাপ অবস্থায়। আইয়ুব খানের সময় সংবাদপত্রে স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু ৯০-এর পর সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে গিয়ে ছিল। হাসিনার আমলে সাংবাদিকতার দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে।’

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই সংলাপের আয়োজন করে।

শফিকুল আলম বলেন, বর্তমানে অনেকে মবের ভয় পাচ্ছেন, তবে আমরা কখনো কোনো নিউজ নিয়ন্ত্রণ করব না। এখন প্রশ্ন হলো, সামনে যদি রাজনৈতিক সরকার আসে, তাহলে কি এই সংস্কৃতি থাকবে? বর্তমানে এমন মানুষও মিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছেন যারা ভালো জানেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত।
 
সরকার মিসইনফরমেশন নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে উল্লেখ করে প্রেসসচিব বলেন, ‘বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন এবং মাইলস্টোন নিয়ে ভুয়া খবরের পরিমাণ ছিল অযাচিত। চট্টগ্রাম পোর্ট এবং উত্তরপাড়া নিয়ে যে পরিমাণ মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়। বিদেশে মিসইনফরমেশন ছড়ালে জরিমানা করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। প্রতিদিন টক শোতে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমরা মেটাকে ফেসবুকে মিসইনফরমেশন নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন সরকারকে মিসইনফরমেশন মোকাবেলার বিষয়ে ব্রেইনস্টর্মিং করা উচিত। যদি আমরা মিসইনফরমেশন ট্যাকেল করতে না পারি, তবে ভবিষ্যতের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’

সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর মঈন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা মিলি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ ও প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow