আগামী শনিবার বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
লিখিত বক্তব্যে ড. সরকার আমিন বলেন, ‘‘জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা-আমাদের প্রাণে মেলা।’’
তিনি বলেন, ‘‘ভাষা শহীদ-ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদ, আহত ও অংশগ্রাহণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবারের বইমেলার মূলপ্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।’’
ড. সরকার আমিন জানান, এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি, উদ্যানে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১০৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)। এবার মোট প্যাভিলয়ন সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গছতলায়। সেখানে প্রায় ১০৯ লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ছিল ১০৯টি)।
তিনি জানান, এবারের বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে। তবে, কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবার মেলা থেকে বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমরআটি বেসিং প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ থাকবে।
ড. সরকার আমিন জানান, খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এগুলো এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
শিশুচত্বর রাখা হয়েছে মন্দির গেটের প্রবেশের ডান দিকে বড় পরিসরে; যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে— জানান সরকার আমিন।
তিনি জানান, বইমেলায় বাংলা একাডেমিসহ অন্যান্য প্রকাশনী ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১ টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুদের চিত্রাঙকন, আবৃত্তি এবং সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।
What's Your Reaction?