রাজাপুরে রাজমিস্ত্রী হত্যা: প্রধান আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার
মোঃ সাজ্জাত বিশ্বাস, ঝালকাঠি
ঝালকাঠির রাজাপুরে পূর্ব শত্রুতা ও কথা কাটাকাটির জেরে রাজমিস্ত্রী আবুল বাশারকে (৪৫) চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল হাসান হাওলাদারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার গাজীপুর থেকে র্যাব-৮ ও র্যাব-১ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল বিএনপির সমর্থক ও উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিন পান্নু হাওলাদারের ছেলে।
র্যাব-৮ এর মেজর সোহেল রানা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাঁকে বরিশালে নিয়ে আসা হচ্ছে। নিয়ে আসার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাজমিস্ত্রী আবুল বাশারকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল হাসান হাওলাদারকে ঢাকার গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রাজাপুর থানায় আনার জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। নিহত রাজমিস্ত্রী আবুল বাশার দক্ষিণ সাউথপুর গ্রামের মৃত তানজের আলী হাওলাদারের ছেলে। গত রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাউথপুর এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজাপুর থানায় নিহত আবুল বাশারের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জনের নামে হত্যার ধারায় মামলা দায়ের করেছে।’
মামলার এজাহার ও নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমের সূত্র জানা যায়, ৪/৫ দিন আগে আবুল বাশার বাজারে ওষুধ কেনার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় আসামিরা বিএনপির নাসিম আকনের প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে না বলে বাড়িতে ফিরে যেতে বলে। বাশার ওষুধ কিনতে যাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনার জেরে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্থানীয় শুকুরের চায়ের দোকানে আসামি নাজমুল হাসান রাজমিস্ত্রী আবুল বাশারের মোবাইলে কল করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন তিনিও প্রতিউত্তর দিতে দিতে দোকান থেকে দক্ষিণ পাশে রাস্তার ওপর দাঁড়ালে আসামি নাজমুল হাসান ও মো. রাতুলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ধারালো চাকু ও এন্টিকাটার তাঁর বাম হাতের কনুই ও কবজি, বুকের ডান, বাম পাশে পেটেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়িভাবে কোপায়। নাজমুল আবুল বাশারের ডান বগলের নিচে সজোরে আঘাত করিলে শরীরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
What's Your Reaction?