শেখ হাসিনাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আহত হয়েছেন হাজারও ছাত্র-জনতা। এছাড়া বিগত ১৬ বছরে আমাদের (বিএনপির) লাখো নেতাকর্মী দলটির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজন্য পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সংস্কার সংস্কার করছে কিছু মানুষ। অথচ যখন স্বৈরাচারী সরকার গুলির জোরে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল, তখন একমাত্র বিএনপিই সংস্কার চেয়েছিল। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
জনসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), জয়নুল আবদিন ফারুক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম।
বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীসহ সব হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। এমনকি ১/১১-এর খলনায়ক মাসুদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এখনও গ্রেপ্তার হননি। ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ ফেনীর পতিত গডফাদার নিজাম উদ্দিন হাজারী ও আলাউদ্দিন নাসিমসহ দেশব্যাপী ২০২৪'র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
What's Your Reaction?