সাবেক ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতা, দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি দুই ব্যক্তির

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বর্তমানে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা অতিরিক্ত সচিব খান মো. নূরুল আমিনের (আইডি নং-৬২৮৩) বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার আদেশের ফলে জলমহাল লুটপাট এবং আইনি হয়রানির শিকার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী মো. নূরে আলম সিদ্দিকী ও মো. আব্দুর রশিদ মোড়ল জানান, ২০০৪ সালের ২৭ অক্টোবর আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের গড়ইমহল জলমহাল সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে একসরা যুব সমবায় সমিতির পক্ষে তারা ইজারা পান। কিন্তু ইউএনও খান মো. নূরুল আমিন একতরফাভাবে ইজারা বাতিল করে দেন, যার ফলে তাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ ও অন্যান্য সম্পদ লুটপাট হয়।
ইজারা বাতিলের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট সেটি স্থগিত করে। এরপর আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে করা মামলা (নং ১০৯/২০০৫)-এর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মামলা হয়। আদালত ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ইউএনও নিজের অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দিয়ে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করান। এসব মামলার বাদীরা আদালতে স্বীকার করেন যে, তারা চাকরি বাঁচাতে ইউএনও’র নির্দেশ পালন করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালিয়ে তাদের প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এবং তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য অন্তত দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এবং অভিযুক্ত সাবেক ইউএনও’র বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত অতিরিক্ত সচিব খান মো. নূরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
What's Your Reaction?






