সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা ফিরোজের’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, কমিটি বাণিজ্যসহ গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম রেজাউর রহমান ফিরোজ এর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড কমিটিতে অর্থ লেনদেন, চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি প্রতিটা ওয়ার্ড কমিটিতে অর্থের লেনদেন হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিএনপির কমিটিতে পদ পদবী পাইয়ে দিয়েছেন ফিরোজ গং। এতে করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয় ২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন ফিরোজ। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তিনি। মাদক ব্যবসায়ীদের মদদদাতা, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, বালু মহল নিয়ন্ত্রণ, সালিশ বৈঠকের নামে অর্থ আদায়, এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে মাসোহারা আদায়সহ মব সৃষ্টি করে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিগত ১ বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক বনেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির রাজনীতির আড়ালে এক অন্ধকার জগতের মানুষ তিনি। সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য রেজাউর রহমান ফিরোজ। পাশ্ববর্তী বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি। গত ইং ২১/১১/২০০৯ তারিখ বগুড়া জেলার শেরপুর থানার মামলা নং ২২, জি আর-৩৬১/০৯ (শেরপুর), বগুড়া দায়রা জজ আদালত মামলা নং ১১০৪/১৩।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ফিরোজ একজন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য তার নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় হত্যা ও ডাকাতি মামলা আছে। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন যা আমাদের দলের জন্য চরম ক্ষতি।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও বলেন, আমাদের না জানিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো টাকার বিনিময়ে যে পকেট কমিটি করা হয়েছে আমরা এর তীব্রনিন্দা জানাই। সেই সাথে জেলা নেত্রীবৃন্দর কাছে আমাদের দাবি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হোক।
এ বিষয় জানতে রেজাউর রহমান ফিরোজের সাথে মুঠোফোন একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
What's Your Reaction?






