‘আমার ছেলেকে খুনিরা কেনো মারলো, দোষ কী তার’

কুমিল্লা প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেনের মরদেহ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে জুবায়েদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুরে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
স্বজনরা জানায়, বাদ মাগরিব কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়। জুবায়েদের প্রথম জানাজা তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জুবায়েদ হোসেনের বাবা মোবারক হোসেন বলেন, ‘ছেলেকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। শুনেছি, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচেয়ে ভারী, এখন সেই ভার আমার কাঁধে। আমি ছেলে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’
জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে সবার শাস্তি চাই। কত আদর যত্ন কইরা আমার ছেলেরে বড় করছি, পড়াশোনা করাইতাছি। আমার ছেলেকে খুনিরা কেনো মারলো? কি দোষ তার?
নিহতের চাচা আক্তার হোসেন বলেন, ‘গতকাল হঠাৎ আমাকে একজন কল দিয়ে বলে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে যাই। আমার বড় ভাই জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন পরিবারসহ নোয়াখালীতে বসবাস করেন। সেখানে সে ব্যবসা করতো। আমার ভাই যখন ব্যবসার মালামাল আনতে ঢাকায় যেতেন তখন জোবায়েদকে সঙ্গে নিয়ে নিতেন। এখন কাকে নিয়ে যাবেন?’
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
What's Your Reaction?






