আ.লীগ নেতা নিশাদকে ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিএনপির পদ, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বহিষ্কার

Sep 3, 2025 - 13:07
 0  7
আ.লীগ নেতা নিশাদকে ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিএনপির পদ, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বহিষ্কার
ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসররা এখন টাকার বিনিময়ে বিএনপিতে প্রবেশ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুযোগসন্ধানী কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা জেলায়।

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিএনপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। আর এই পদের জন্য ফ্যাসিস্টের অন্যতম দোসর ব্যবসায়ী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপি'র সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মঈনুল হাসান সাদিককে। সম্প্রতি এমন অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় দল থেকে নিশাদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং সুবিধাবাদী নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে সম্প্রতি  গাইবান্ধা জেলায় বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে শুদ্ধি অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তবে দলীয় সূত্র মতে, গাইবান্ধায় জেলা বিএনপিতে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী নিশাদকে পদে কারা প্রবেশ করালেন সেটার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দলের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।

একটি বিশেষ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলীয় মনোনয়ন চাওয়া স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নিষাদ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত ডোনার হিসেবে অত্র এলাকায় বেশ পরিচিত। অনেকেই বলছেন- নিশাদের পথ গেলেও যারা তাকে পদে অনুপ্রবেশ করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না?

এদিকে নিশাদের টাকার বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে নিশাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় বিএনপি। তবে নিশাদের কাছে থেকে বিএনপির যেসব নেতা এই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বিষয়ে নিশাদ একটি মাধ্যমে বলেছেন, মোটা টাকা দিয়েও এই পদ ঠেকানো গেল না।

গাইবান্ধা জেলা বিএনপি ও একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে নিশাদকে যারা পদ দিয়েছেন তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক। এর সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মঈনুল হাসান সাদিক এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহাদুন্নবি টিটুল। মূলত তারাই মোটা টাকার বিনিময়ে তাকে পদ দেন।

দলীয় আরেকটি সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক সাদিক ৫ আগস্টের পর থেকে টাকার বিনিময়ে দোসরদের পদ-পদবিতে রাখছেন। নিজের ইচ্ছামতো দলকে ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা যায়, বিএনপি নেতা সাদিক একসময় জাসদ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। অভিযোগ আছে, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির নেতা সাদিকই (লোক দিয়ে) মূলত নিশাদের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা গ্রহণ করেন এবং অন্যদের ভাগের টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন।

জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মঈনুল হাসান সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাহিদুজ্জামান নিশাদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৮ কোটি বা ১০ কোটি টাকা আমরা নিয়েছি সেটা মিথ্যা।’ সে আপনার ডোনার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশাদ এমপি প্রার্থী ছিলেন, কিছুদিন পর তিনি বিএনপি নেতাদের সহযোগিতা করতেন। তাকে দলে দরকার, এ জন্য পদ দেওয়া হয়েছে। এর উত্তর দলকে দিয়েছি।’ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশেই নিশাদকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল, তবে সেগুলো হাইকমান্ডও জানতেন। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাদুন্নবি টিটুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি।

যেভাবে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ:

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ী নাহিদুজ্জামান নিশাদ। দলটির স্থানীয় শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় অনেক হোমড়াচোমড়ার সঙ্গে তার ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও হোটেলে। আওয়ামী লীগের রাতের ভোট ও ডামি নির্বাচন সফল করতে দুবার হয়েছিলেন প্রার্থী। গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে পাল্টে ফেলেন সুর। যোগাযোগ করেন অভ্যুত্থানপন্থি বড় দল বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে, মেলে অভাবনীয় সাফল্য। পেয়েছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতির পদ। তিনি ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ বাগিয়েছেন বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

সূত্র জানায়, নিশাদ ২০২৪ সালের ডামি ভোটের প্রার্থী নিশাদের দাদাবাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বগার ভিটা গ্রামে। তার বাবা কাজের সুবাদে বেশ আগে বগুড়ায় পাড়ি জমান এবং সেখানেই বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীতে থাকছেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন নিশাদ। তবে যাতায়াত আছে উভয় জেলায়। সবকিছুই বগুড়ায় হলেও নির্বাচন ও রাজনৈতিক পদ নিয়েছেন গাইবান্ধায়। গত ১৪ নভেম্বর পেয়েছেন জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ।

তখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, দলীয় নির্দেশে নাহিদুজ্জামান নিশাদকে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

নিশাদ বগুড়া শহরে গড়ে তুলেছেন ‘রোচাস হোটেল’ নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যা আওয়ামী আমলে সরকারি কর্মকর্তা ও নেতাদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে সেটি বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা ও কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ডামি নির্বাচন সফল করার জন্য ২০২৪ সালে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আপেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে বিশেষ কারণে ভোটের আগের দিন সরে দাঁড়ান। এর আগে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি একই আসনে স্থগিত উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে জনরোষের ভয়ে সেই নির্বাচনেও ভোটগ্রহণের আগে সরে দাঁড়ান।

নিশাদকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে অস্থিরতা:

বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিশাদকে ঘিরে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী এই নেতা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দাপটে দুই উপজেলায় গত ১৬ বছরে মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে টাকার প্রভাবে একটি অংশকে নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। নির্বাচনি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাঘাটা ও ফুলছড়ির বিএনপি নেতাদের বশে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন নিশাদ।

যাকে যেভাবে বাগে আনা সম্ভব, সেভাবেই চেষ্টা করছেন তিনি। যারা তার কথা শুনতে চাইছেন না বা তার আনুগত্য মানছেন না, তাদের তিনি নানাভাবে হয়রানি ও অপদস্থ করছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কারও করার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে জেল-জুলুমের শিকার নেতাকর্মীরা তার অবমূল্যায়নের শিকার হচ্ছেন।

নিশাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ:

বগুড়া শহরে সুরম্য অট্টালিকায় থাকেন নিশাদ। মন জয়ের জন্য সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের বাসায় দাওয়াত করে খাওয়ানো তার পুরোনো কৌশল। তার হোটেল রোচাসে আড্ডা-পার্টি সবই চলে নিয়মিত। স্থানীয় জয়যুগান্তর নামে একটি পত্রিকাসহ নিটোল টাটা কোম্পানির ডিলারশিপ ও বেশ কিছু ব্যবসা আছে তার। জয়পুরহাটে সাইবারটেক পলিটেকনিক অংশীদার জাহিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক লিখে নেন এবং বগুড়ায় স্কুল অব দ্য হলি কুরআন নামে প্রতিষ্ঠান নজরুল ইসলামের কাছ থেকে কৌশলে আওয়ামী লীগ আমলে লিখে নেন।

বহিষ্কার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘নিশাদকে আমরা আগে গাইবান্ধার রাজনীতিতে কখনো দেখিনি। তবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবে দুবার নির্বাচন করেছেন। এটা আমাদের বিস্মিত করেছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি, তাদের মূল্যায়ন না করে এক বহিরাগতকে এমন পদ দেওয়াটা দুঃখজনক। বিষয়টি তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে।’

একই কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, নিশাদ বিএনপির পদ পাওয়ার পরই এক পক্ষকে কাছে নিয়ে টাকার খেলায় মেতেছেন। নেতাকর্মীদের বশে আনতে না পারলেই বহিষ্কার, কারণ দর্শানোর নোটিশ, মামলা-হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত তার থাবা থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তার কারণে এরই মধ্যে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে ফাটল ধরেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি দেওয়ার আলোচনা হলেই টাকার বিনিময়ে আওয়ামী ক্যাডারদের অন্তর্ভুক্ত করছেন নিশাদ।

এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ তুলিপ বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। আমি কোনো অপরাধে জড়িত না থাকলেও সদ্য নেতা হওয়া নিশাদের কথা না শোনায় মিথ্যা অভিযোগে আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

জুমারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবু তাহের মন্ডল বলেন, বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী নিশাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসন করছেন। এর অংশ হিসেবে জাসদের গাইবান্ধা জেলা কমিটির সহসভাপতি রুস্তম আলী আকন্দকে কৃষক দলের সদস্য করেছেন।

৮ থেকে ১০ কোটি টাকা দিয়ে বিএনপির পদ কিনে নেওয়ার বিষয়ে জানতে নিশাদের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি মেসেজ দিলেন কোনো উত্তর মেলেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নিশাদের সঙ্গে এখন থেকে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে তার সঙ্গে কেউ যাতে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখে। নিশাদের সার্বিক বিষয়ে তদন্তের পর দরকার হলে তার বিরেুদ্ধে দল আরও কঠোর হবে।

তিনি বলেন, 'শুধু নিশাদ নয়, দলের সুনাম ও সাংগঠনিক নির্দেশনা যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থানে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ ও গাইবান্ধার দায়িত্বে) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম জানান, ‘আমি একটা প্রোগ্রামে আছি, পরে কথা হবে।’

জানতে চাইলে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ ও গাইবান্ধার দায়িত্বে) আব্দুল খালেক জানান, ‘আপনি আগামীকাল আমার অফিসে আসেন, দেখা করেন, বসে কথা হবে।’ এটি বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।'

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow