মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে হৃদয় খান নামে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ লুকাতে সহযোগিতা করার দায়ে জাহিদুল ইসলাম নামের আরেকজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর দুইটার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলীর ১২ বছর বসয়ী এক কিশোরীকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে হৃদয় খান। পরে টাকা না পেয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে খালের মধ্যে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তিনি। মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করেন জাহিদুল।
পরে মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হৃদয় ও জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ অনুযায়ী হৃদয় খানের বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ লুকানো অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
পাশাপাশি অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপহরণের পর মুক্তিপণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং হত্যার পর আলামত লুকানোর দায়ে তাকে আরও ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহিদুলকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, যাতে এ রায় দ্রুত কার্যকর হয় আমরা সেই প্রত্যাশা করছি।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াসী মতিন বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
What's Your Reaction?






