কঙ্গোতে ৫ দিনে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে নিহত ৭০০

Feb 1, 2025 - 16:05
 0  3
কঙ্গোতে ৫ দিনে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে নিহত ৭০০
ছবি : সংগৃহীত

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী শহর গোমায় বিদ্রোহীদের আক্রমণে পাঁচদিনে অন্তত ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি জাতিসংঘের। চলমান সহিংসতায় দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানায় তারা। 

শনিবার (১ ফেব্রিয়ারি) বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও কঙ্গো সরকার রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডার মদদপুষ্ট বিদ্রোহী দল এম-২৩ গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা দখলের পর দেশে চরম অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।

বিদ্রোহীরা এখন দক্ষিণ কিভু প্রদেশ দখলের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। ১৯৯০ সালের পর থেকেই বিদ্রোহীদের তৎপরতায় অস্থির এই অঞ্চল। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান উজারিখ।

তুতসি জাতির বিদ্রোহীগোষ্ঠী এম-২৩ বলছে, তারা সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতে সশস্ত্র অভিযান চালাচ্ছে। তবে কঙ্গো প্রশাসনের দাবি, অঞ্চলটির খনিজসম্পদের দখলদারত্ব আদায়ে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে এম-২৩।

এদিকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে রুয়ান্ডা। এ প্রসঙ্গে রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র ইয়োলান্ডে মাকোলো বলেন, ‘কঙ্গোতে যুদ্ধ বা ক্ষমতাবদলে আমাদের কোনো স্বার্থ জড়িত নেই।’

অন্যদিকে জাতিসংঘের দাবি, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা পরিচালনায় বিদ্রোহীদের সহায়তা করছেন রুওয়ান্ডার অন্তত তিন হাজার সেনা। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোমা ও বাকাভু শহরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে কঙ্গো প্রশাসন। 

দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন দেশপ্রেমী যুবকরা। এমনই এক যুবক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত।’

চলমান দাঙ্গার কারণে দেশের মানবিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে পড়েছে। খাদ্য, সুপেয় পানি ও ওষুধের সরবরাহ থেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।

পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কর্মকর্তা শেলি ঠাকরাল বলেন, ‘সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে।’

বিদ্রোহীদের উপস্থিতির কারণে চলতি বছরেই প্রায় চার লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

চলমান সহিংসতা মোকাবিলায় কঙ্গো প্রশাসনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর জোট এসএডিসি। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যেই কঙ্গোতে দূত পাঠিয়েছে তারা।

উদ্ভূত এই অস্থিরতার দৃশ্য আফ্রিকা মহাদেশে নতুন নয়। বিপুল পরিমান খনিজ সম্বলিত এই মহদেশে সহিংসতা বন্ধে বিশ্বনেতাদের সদিচ্ছা প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বিবিসি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow