গোপালগঞ্জে সহিংসতা: ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪শ’ জনের নামে মামলা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে মামলাটি করেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আহম্মেদ আলী। অভিযোগে বলা হয়েছে, এনসিপির কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভাঙচুর, হামলা ও সহিংসতা চালানো হয়। এসব ঘটনার পর গোপালগঞ্জে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর আগে গত বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির একটি জনসভা শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে হামলা করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা দিনভর চলতে থাকে। পুরো শহর একপর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিকেল পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের সহায়তায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এনসিপির নেতা আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) ব্যবহার করে এলাকা ত্যাগ করছেন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা খুলনায় পৌঁছান এবং সেখানকার সার্কিট হাউস ও একটি হোটেলে অবস্থান নেন।
ঘটনার পরিণতিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের রমজান কাজী (১৯), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (৩০), ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪) এবং রমজান মুন্সী (৩২)।
সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পরপরই সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
What's Your Reaction?






