তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু : মির্জা ফখরুল

Jul 14, 2025 - 23:54
 0  1
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু : মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং মিটফোর্ডে পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ নয়া পল্টনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

বিএনিপি মহাসচিব বলেন, যারা আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু, ‍যারা দেশের বিরুদ্ধে বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু, তারা এই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে।

তিনি বলেন, আসুন, আজকে এই শান্তিপূর্ণ র‌্যালির মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি ওই সমস্ত তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদেরকে যারা তারেক রহমান সম্পর্কে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বলেছেন।

একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, তাই বলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বলব না। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নেতাকে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বললে মান ছোট হয় না। ছোট হয় তারা যারা এসব অশ্লীল কথা বলে। 

মিটফোর্ড এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই হত্যার ঘটনায় সঠিক তদন্ত হতে হবে, যারা দায়ী তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা যারা করেছে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য করেছে।

তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে র‌্যালিতে অংশ নিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেই, দেশবাসীকে জানিয়ে দেই এবং একই সঙ্গে যারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরও জানিয়ে দেই বিএনপি একমাত্র দল যে দল জনগণকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন কারো পাতানো ফাঁদে পা না দেই। তারা চেষ্টা করছে আমাদেরকে উত্তেজিত করে তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয়ার জন্য। যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র চাই। আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই। সেটা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। যেটা আমাদের তারেক রহমান সাহেব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে আলাপ করে ঠিক করেছেন। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ঠিক হওয়ার পর থেকে ওদের মাথা বিগড়ে গেছে। যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমান সাহেব নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে, এবার নির্বাচন হবে তখন থেকেই তাদের মাথা বিগড়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সময়টাতে আমরা নির্বাচন চাই। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই, আমরা জনগণের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করতে চাই, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করতে চাই আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে।

তিনি বলেন, ওদের পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা, অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিভাজনের সৃষ্টি করা, দেশকে আবার এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসা যেখানে গণতন্ত্র তিরোহিত হবে। সেজন্য সবচেয়ে বড় ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করতে পেরেছি ছাত্র-জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, ঠিক একইভাবে কোনোদিন যেন আবার ফ্যাসিস্ট না আসতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমরা করব। আসুন আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

ফকিরেরপুল থেকে শুরু করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় পর্যন্ত মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মিছিলটি বিজয় নগর দিয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুব দলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow