ভারতে চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন, ২০ জনের মৃত্যু

ভারতের রাজস্থানের জয়সলমেরে যাত্রীবাহী একটি চলন্ত বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন যাত্রী মারা গেছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি জয়সলমের থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে জয়সলমের-জোধপুর মহাসড়কে পৌঁছালে বাসের পেছনের অংশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে চালক তাৎক্ষণিক বাসটি থামিয়ে রাস্তার পাশে নেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় আহত যাত্রীদের উদ্ধারের পর জয়সলমেরের জওহর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় যাত্রীদের অনেকেই বাস থেকে নেমে আসার সুযোগ না পেয়ে পুড়ে মারা গেছেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসটি মাত্র পাঁচ দিন আগে কেনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা মঙ্গলবার গভীর রাতে জয়সলমেরে পৌঁছে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জয়সলমেরের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন তারা।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ সিং আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। হেল্পলাইন নম্বরও জারি করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় আটটি অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি স্থানান্তরের সুবিধার্থে জাতীয় সড়ক ১২৫-এ একটি সবুজ করিডোর তৈরি করা হয়েছে।
বাসটি এমনভাবে পুড়ে গেছে, নিহত এবং আহতদের অনেকেই শনাক্তযোগ্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো জানিয়েছেন, “যোধপুর থেকে ডিএনএ এবং ফরেনসিক দলের সহায়তায় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে মৃতদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক পোস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।
মোদি বলেন, ‘প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’
What's Your Reaction?






