সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন

Jan 5, 2025 - 13:12
 0  13
সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন
ছবি : সংগৃহিত

হুমায়ন কবির সোহেল, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুনের জোড়া খুনের দায়ে চারজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা তৃতীয় আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। এছাড়াও মৃত্যদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৮ আসামির ২৫ হাজার করে জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার চক পাঙ্গাসী গ্রামের আক্তার প্রামানিকের ছেলে
হাসানুর হাসু (৪৫), একই গ্রামের হাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে কাওছার আলী, দেল মাহমুদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও মৃত লাজেমুদ্দিন প্রামানিকের জাহিদুল ইসলাম জালিম।

যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের আশরাফ (৫০), মোতালেব (৪০), রেজাউল (৩২), দুলাল (৩৫), মনিরুল (৩০), সাদ্দাম (২৮), বেল্লাল (৫০) ও আওয়াল (৩০)।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের (২১ জানুয়ারি) সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের (১৯ অক্টোবর) আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ এ মামলায় রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow