আইনের শাসন কাকে বলে আমরা এই ইলেকশনে দেখাতে চাই : সিইসি

Oct 11, 2025 - 18:02
 0  4
আইনের শাসন কাকে বলে আমরা এই ইলেকশনে দেখাতে চাই : সিইসি
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

ভোট গ্রহণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘আপনি যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন, আপনি মনে করবেন আপনি সেই কেন্দ্রের চিফ ইলেকশন কমিশনার। আইনের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া আছে। আপনারা সেটা প্রয়োগ করবেন। প্রয়োজনে সেন্টার বন্ধ করে দেবেন, ২-৩টা সেন্টার। প্রয়োজনে পুরো আসনে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে নগরের আসকার দীঘি এলাকায় আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্র মিলনায়তনে চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজক ছিলেন সিবিটিইপি প্রকল্প।

কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরও বলেন, ‘আমরা চাই, জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখুক, যেখানে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা থাকবে। আর সবাই বিশ্বাস করবে, আইন সবার জন্য সমান। এই নির্বাচন প্রমাণ করবে বাংলাদেশে আইন ও গণতন্ত্র এখনো টিকে আছে। আমরা সবাই মিলে একটি স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করব। আসুন, একটা উদাহরণ সৃষ্টি করি এই দেশে যে আইনের শাসন কাকে বলে—আমরা এই ইলেকশনে এটা দেখাতে চাই।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সুরক্ষার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আপনাদের পেছনে আছে। আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই। আমরা আপনাদের সুরক্ষা দেব। আপনারা শুধু নিরপেক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাটা প্রয়োগ করবেন। কারণ, আপনারা যদি নিরপেক্ষ না থাকেন, মানুষ যদি মনে করে যে আপনি বিশেষ কোনো প্রার্থী বা দলের পক্ষে কাজ করছেন, তাহলে সমস্যা হবে। দায়িত্বে অবহেলা করলে সেটি আর সহনীয় থাকবে না।’

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত নানা বিষয় থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে জটিল। তাই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে একটি “সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল” এবং “ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট” গঠন করছে, যাতে যেকোনো জায়গায় তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও এআইভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায়ও একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব, ইউএনডিপি বাংলাদেশর সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow