জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শেষ হল ‘শাহবাগ ব্লকেড'

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময়সীমা দিয়ে শাহবাগ থেকে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার শাহবাগে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “গোপালগঞ্জে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর হামলা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য মহড়া প্রত্যক্ষ করেছি।
“রাষ্ট্রীয় প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা গভীরভাবে হতাশ।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংগ্রামে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আমরা সব সময় মাঠে থাকব।”
তিনি বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা আবারও কোটা আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি ও নতুন করে ব্লকেড দিতে বাধ্য হবে।”
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিকাল ৫টার দিকে সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সে অনুযায়ী শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনটির অনুসারীরা অবরোধ করেন। যদিও বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেইসবুক পেইজে ‘ব্লকেড’ উঠিয়ে রাস্তার পাশে অবস্থান কর্মসূচি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনসিপি নেতা সারজিস আলমও নিজের ফেইসবুক পেইজে ‘ব্লকেড’ উঠিয়ে রাস্তার পাশে অবস্থান কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা প্রচার করেছেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবু বাকের বলেন, “গোপালগঞ্জে হামলাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান ছিল, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আবার রাস্তায় নেমেছে। তারা আবার আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করে। আমরা জুলাইয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ফ্যাসিবাদের দোসরদের জেলে ভরব।কিন্তু সরকার আমাদের আশাহত করেছে।
“এ সরকার ছাত্রজনতার আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে নাই। যার ফলাফল, আজকে ছাত্রজনতা মার খাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কোনো আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে পারে নাই।
“আপনারা যদি জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তাহলে এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।”
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইনকিলাব মঞ্চ।
সেখানে মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদি বলেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ নিয়ে গোপালগঞ্জ অভিমুখে লং মার্চ করা হবে।
“এদেশে বিএনপি, জামাত, এনসিপি আছে। প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের ঝগড়াও আছে। তবে জুলাই প্রশ্নে, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের কোনো ঝগড়া নেই।”
What's Your Reaction?






