আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, জেলে গেল ছাত্রদল নেতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভাঙ্গা কোটপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে উপজেলার পুখুরিয়া বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, সংঘর্ষ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হলেও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সজল কাজী জাফর উল্লাহর পক্ষ অবলম্বন করেন।
অভিযোগ রয়েছে, সংঘর্ষে সজল ও তার সঙ্গীরা নিক্সন চৌধুরীর পক্ষের লোকজনের ১০টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর, লুটপাট এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এমন খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পাশাপাশি র্যাব ও যৌথবাহিনীও গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় দুইদিন পর সজল তালুকদার, সুলতান মাতুব্বর, মজিবর তালুকদার, আলহাজ্ব তালুকদার, আক্কাস মাতুব্বর, হেমায়েত তালুকদার, মুক্তার তালুকদারসহ ৯০ জনকে আসামি করে নিক্সন চৌধুরীর পক্ষের হারুন মোল্লা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সজল তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে হারুন মোল্লা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সজল তালুকদার ২ নম্বর আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম বলেন, আমি গতকাল থেকে সাংগঠনিক কাজে চরভদ্রাসন উপজেলায় ছিলাম। সজলের গ্রেপ্তারের বিষয় আমি শুনেছি, আমি ভাঙ্গাতে এসে বিস্তারিত জানবো এবং সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেব।
What's Your Reaction?






