ইতিহাস সমৃদ্ধ পাবনা জেলার ১৯৭ বছর উদযাপন, উন্নত নগরীর স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার

পাবনা প্রতিনিধি
কেক কাটা, আলোচনা সভা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ নানা আয়োজনে ইতিহাস সমৃদ্ধ পাবনা জেলার ১৯৭ বছর উদযাপন করেছে পাবনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন।
পাবনা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে পাবনাকে উন্নত নগরী গড়ার স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার করেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্টজন, সাংবাদিক, সুধী সমাজ ও জনপ্রতিনিধিরা।
পাবনা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় ও পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গোলাম মোরতাজা খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতীন খান ও সাবেক সাধারন সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন।
অনুষ্ঠানে পাবনার সাংবাদিক, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, স্বেচ্ছাসেবী ও সুধিজনরা যোগ দেন।
বক্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেন পাবনা শহরের কাঠামোগত দুর্দশা, অবকাঠামোগত ঘাটতি ও নাগরিক সমস্যার নানা চিত্র। কিভাবে এই ঐতিহ্যবাহী শহরকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে করণীয় নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। তারা আশা প্রকাশ করেন পাবনা জেলার ২০০ তম জন্মদিনে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ পাবনা উপহার দিতে পারলে সেটি হবে ইতিহাসের মাইলফলক।
অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে এক আনন্দঘন পরিবেশে জেলা প্রতিষ্ঠা দিবসের এই বিশেষ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
এ ছাড়া পাবনার জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজকের প্রজন্ম ফোরাম শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সংগীতানুষ্ঠান, কেক কাটা, আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে।
১৮২৮ সালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট এ ডাব্লিউ মিল্সকে পাবনায় জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর পাবনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে পাবনা পায় পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা পায়।
What's Your Reaction?






